আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলটের মোবাইল ফোন ( Mobile Phone) ছিল অক্ষত। একাধিকবার সেই ফোনে (Phone) ফোন করা হলে সেটি বেজে ওঠে। জিপিএসের সাহায্যে উদ্ধারকারীদল দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের হদিশ পায়। কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Tribhuvan International Airport) কর্তৃপক্ষের বিবৃতি উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।
বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (General manager of Kathmandu’s Tribhuvan International Airport) প্রেম নাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীর তরফ থেকে আমরা বিমান দুর্ঘটনার খবর পাই। ঠিক কোথায় বিমানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে, সেটা জানা আমাদের প্রয়োজন ছিল। জিপিএসের ( GPS location)সাহায্যে আমরা বিমানটির খোঁজ শুরু করি। আর তাতেই ধরা পড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন ঘিমিরের (Captain Ghimire) ফোনটি অক্ষত রয়েছে। তাঁর মোবাইলে (Mobile Phone) একাধিকবার ফোন করা হলে ফোনটি বেজে ওঠে। পরে সেই ফোনের সূত্র ধরে দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করা হয়।’
রবিবার দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট তারা এয়ারের (Tara Air) একটি বিমান ভারতের পোখরা থেকে নেপালের জমসমের দিকে যাচ্ছিল। বিমানে যাত্রী ছিলেন ২২জন। মাঝ আকাশেই বিমানটির সঙ্গে এটিসির (ATC) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (airport authority) জানায়, বিমানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। ২২জন যাত্রীর একজনেরও বেঁচে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় উদ্ধারকারীদল সেখানে পৌঁছতে বেশ অসুবিধের মধ্যে পড়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে দুটি হেলিকপ্টার (Helicopter)। এই খবর লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষ, যাত্রী বা পাইলটের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। খোঁজ চলছে ব্ল্যাক বক্সের।
আরও পড়ুন নেপালে হারিয়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, ২২ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা