নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান সিনেমায় যৌনতার ছড়াছড়ি। চিত্রনাট্য়ের প্রয়োজন ছাড়াও বেশিরভাগ সিনেমায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যৌন আবেদনপূর্ণ দৃশ্য। হলিউডের ছবিতে যৌনতা খুবই সাধারণ বিষয়। তবে ভারতেও এখন অনেকে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করছেন। খোলাখুলি যৌনতা দেখানো হচ্ছে হলিউডের বিভিন্ন ছবিতে। তবে তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়না। নয়ের দশকের আগে পর্যন্ত হলিউডেও যৌনতা দেখানো যেত না। যদিও বা কোনও হলিউডি সিনেমায় চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে দেখানো হতো তা ব্যান বা সেন্সর করে দেওয়া হতো।
তবে শুনলে আশ্চর্য হবেন, আজ থেকে ৮৮ বছর আগে একটি সিনেমায় খোলাখুলি নগ্নতা এবং যৌন সঙ্গমের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল হলিউডি এক সিনেমায়। বলা বাহুল্য সেটিও ব্যান হয়েছিল। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বে প্রথম কোনও সিনেমায় যৌনতার দৃশ্যের ইতিহাস।সালটা ১০৩৩, হলিউডে মুক্তি পেয়েছিল ইরোটিক ড্রামা এক্সটাসি (Ecstasy)। এই ছবির পরিচালক ছিলেন চেক চিত্রনির্মাতা গুস্তাভ ম্য়াকাটি (Gustav Machaty)। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অস্ট্রিয়ান অভিনেত্রী হেডি লামার (Hedy Lamarr)।
তিনি ওই ছবিতে যুবতী বধূ ইভার ভূমিকায় অভিনয় করেন। গল্প অনুযায়ী তাঁর বিয়ে হয়েছিল তাঁর থেকেও বেশি বয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে। ফলে স্বভাবতই বিবাহিত জীবনে তিনি যৌনতার আনন্দ পেতেন না। এই নিয়েই গল্পের প্লট। একটি দৃশ্যে দেখা যায় ইভা বিবস্ত্র বা নগ্ন হয়ে জলে সাঁতার কাটছেন, এবং একটি ঘোড়া তাঁর পোশাক নিয়ে পালায়। ফলে নগ্ন হয়েই ছবির নায়িকা সেই ঘোড়ার পিছনে ছোটে। সেটাই সিনেমায় দেখানো প্রথম সম্পূর্ণ নগ্ন কোনও অভিনেত্রীর দৃশ্য।
এখানেই শেষ নয়, ছবিতে দেখা যায় এক যুবক ওই ঘোড়াটিকে থামায়। এবং গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নায়িকাকে তাঁর পোশাক ফেরত দেয়। পরে ওই যুবকের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় নায়িকার। এবং তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় দেড় মিনিটের দৃশ্যে সেই যৌন মিলনের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল ক্যামেরায়। আর সেটাই ছিল প্রথম কোনও সিনেমায় দেখানো যৌনতার দৃশ্য। এর আগে এই ধরণের খোলামেলা দৃশ্য দেখানো হয়নি বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। ফলে যথারীতি সেন্সরের কোপ পড়ে সিনেমাটির উপর। আমেরিকায় ব্যান করা হয় এক্সটাসি ছবিটি। পরে কিছুটা কাটছাঁট করে ১৯৩৬ সালে ফের মুক্তি পায় ওই ছবি। অনেক লড়াইয়ের পর অবশেষে ১৯৪০ সালে সম্পূর্ণ দৃশ্য সমেত ছবিটি ছাড়পত্র পায় আমেরিকায়।