নিজস্ব প্রতিনিধি, নাগপুর: শৈশবে এবেলা পেটে ভাত পড়ত, তো ওবেলা শুধু জল খেয়ে রাত কাটাতে হত। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই। লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে আসার কথা একবারের জন্য চিন্তা করেননি। উল্টে শেষ দেখার জেদ তাঁকে চেপে বসেছিল। তাঁর জেদের কাছে হার স্বীকার করল দারিদ্র্য।
গ্রামের সেই প্রথম যুবক, যে স্কুলের গণ্ডী পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিল কলেজে। বিষয় ছিল বিজ্ঞান। পরীক্ষার ফল দেখে চমকে উঠেছিল গোটা গ্রাম। ইতোমধ্যে আর্থিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। বাবা গ্রামের একটি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। গ্রাম থেকে স্কুলের দূরত্ব একশো কিলোমিটার। তবুও কিছু করার ছিল না। কারণ, পেটের দায়। একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে বাবার কষ্ট – চোখের সামনে প্রতিদিন এই দৃশ্য তাকে তাতিয়ে তুলেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটার পর একটা বাধা অতিক্রম করে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলির যুবক আমেরিকার সিনিয়র সায়েন্টিস্ট। পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই যুবকের।
যুবকের নাম ভাস্কর হালামি। গড়চিরৌলির ছিড়ছারি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাস্কর জানিয়েছেন, ছোট থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই শুরু। দিনে একবেলার খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে ছিল। না খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার, গবেষণা করার। এত কষ্টের মধ্যে থেকেও সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করাই ছিল আমার কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা পুরণ করতে পেরেছি দেখে ভালো লাগছে। এই সংগ্রাম নিঃসন্দেহে বাকিদের অনুপ্রেরণা শক্তি।