নিজস্ব প্রতিনিধি : আমাদের বিশ্বে তিনটি অদ্ভূত দেশ আছে যেখানে মৃতদেহ দাহ বা কবর দেওয়া হয় না। এবার ভাবছেন তো তাহলে নিশ্চয়ই কফিনে। কিন্তু আপনি কি জানেন কফিনের মধ্যে ও নয় ঝুলিয়ে রাখা হয় উঁচু পাহাড়ে। জানেন কেন করা হয় এসব ? আর এই অঞ্চলগুলো ভূতুড়ে নামে পরিচিত কেন ? আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে এগুলি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে জেনে নিন কেন এগুলো করা হয়-
কোথায় হয়ে থাকে : এইসব রহস্য সমাধানে যুগ যুগ ধরে হাজার হাজার সাহসী এবং রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষ এক দেশ থেকে অন্যদেশে ছুটে বেরিয়েছেন এবং আজও বেরোচ্ছেন। তবে আপনি যদি সাহসী হন তবেই যেতে পারেন এইসমস্ত জায়গাগুলোতে।এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশের ঐতিহ্য। চিন, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে বহু বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। যেগুলো ঝুলন্ত কফিন নামে পরিচিত। পাহাড়ের মুখে এগুলো স্থাপন করা হয়ে থাকে।
প্রচলিত বিশ্বাস : ঝুলন্ত কফিন নিয়ে নানা বিশ্বাস রযেছে। আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড় চুড়োয় মৃতদেহ ভরা কফিন ঝোলানোর রীতি ছিল। তবে সেই প্রথা আজও বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। কথিত আছে, এক চিনা রাজবংশ এই প্রথার প্রবর্তন করে। সেই সময় বিশ্বাস করা হত যে, এরকম করলে সহজেই প্রকৃতিতে ফিরে আসা যায় এবং দ্রুত স্বর্গ লাভ করা যায়।
লৌকিক বিশ্বাস : প্রাথমিকভাবে যখন লাশের কফিন পাহাড়ে ঝোলানো হতো, তখন মানুষ তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করার সাহসও পেত না। অনেকের বিশ্বাস, অন্ধকারে প্রেতাত্মারা এই কফিনের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাই আজও সূর্যাস্তের পর কেউ কফিনের কাছে যেতে সাহস পান না। মাঝরাতে এখান থেকে নাকি অদ্ভুত সব আওয়াজ আসে।
জীবন্ত লাশ : অনেকে এটা দেখে ভয় পেতেন। পাহাড়ের ওপর পরপর কফিন ঝুলিয়ে রাখা যতটাও না ভয়ের, তার থেকে বেশি ভয় হয় সেই কফিনের মধ্যে হাজার হাজার লাশ রয়েছে। মনে হয় যেন জীবন্ত লাশ ঝুলছে। তাই সেখানে মানুষ যেতে আজও ভয় পায়। সূর্যাস্তের পর সেখানে যাওয়া বারণ আছে। বিশ্বের এই তিন দেশের ঝুলন্ত কফিনের কাহিনি বেশ বিখ্যাত