নিজস্ব প্রতিনিধি, করিমগঞ্জ (অসম): প্রায় হারিয়ে যাওয়া ভাষার মধ্যে অন্যতম সংস্কৃত। ব্যবহারিক জীবনে এই ভাষার প্রয়োগ প্রায় হয় না। ভাষাবিদদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীতে যেভাবে একটার পর একটা ভাষা হারিয়ে গিয়েছে, একদিন সংস্কৃত ভাষাও হারিয়ে যাবে। মানুষ কোনও একদিন বলেন, সংস্কৃত বলে একটা ভাষা ছিল। সেটা তারা শুনেছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে অসমের করিমগঞ্জ জেলা থেকে এল এক আশ্চর্য খবর।
করিমগঞ্জ জেলার একটি গ্রামের মানুষ কথা বলে সংস্কৃত ভাষাতেই। এমনকী ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও বড়দের দেখাদেখি নিজেদের মধ্যে বার্তা বিনিময় করেন ওই ভাষাতেই। এরা করিমগঞ্জের রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের পাতিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামটি খুবই ছোট। বাস করে মাত্র ৬০টি পরিবার। সংস্কৃত ভাষাতে শুধু কথা বলা নয়, গ্রামে প্রতিদিন নিয়ম করে যোগ শিবির বসে। সেখানে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও অংশ গ্রহণ করে। প্রতি মাসে এই গ্রামে আয়োজন করা হয় গায়ত্রী যজ্ঞ।
গ্রামের বাসিন্দা দীপ নাথ জানিয়েছে, আগে এখানে আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলত মানুষ। ২০১৫ সাল থেকে গ্রামের সকলেই সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। গ্রামে বাস করে ৬০টি পরিবার। সকালে প্রতিদিন আয়োজিত হয় যোগ শিবির। শুরু হয় ভোর পাঁচটা থেকে চলে সকাল সাতটা পর্যন্ত। আর প্রত্যেক মাসে নিয়ম করে আয়োজন করা হয় গায়ত্রী যজ্ঞ। গ্রামের সকলেই এই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন।
এই খবর নিঃসন্দেহে প্রাপ্তি। বিশেষ করে সংস্কৃত ভাষা প্রেমীদের কাছে।
আরও পড়ুন সংস্কৃত ভাষায় ক্রিকেটের ধারাভাষ্য খুদের, বিস্মিত নেট দুনিয়া