27ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 9:44 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ! ডাবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্ব আসলে যে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই নয়, অন্তত মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের দেওয়া তথ্য তাই বলছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য খোলা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে গত ৩ বছরে নাম লিখিয়েছিলেন ৩৯ লক্ষ কর্মপ্রার্থী। কিন্তু চাকরি জুটেছে মাত্র ২১ জনের। আর ওই ২১ জনকে চাকরি দিতে সরকারের কোষাগার থেকে খসাতে হয়েছে ১৬ কোটি টাকার বেশি।
বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য ২০২০ সালের ১ এপ্রিল করোনার প্রকোপের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জেলায় ‘জেলা রোজগার কেন্দ্র’ নামে কর্মসংস্থান চালু করেছিল শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। লক্ষ্য ছিল সরকারি অফিসগুলিতে চাকরির বন্দোবস্থ করে দেওয়া। ওই লক্ষ্যে রাজ্যে মোট ৫২টি কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। ওই কেন্দ্রের জন্য কর্মী নিয়োগও করা হয়েছিল। গত তিন বছরে ওই কেন্দ্রগুলিতে কাজের খোঁজে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন ৩৮ লক্ষ ৯৩ হাজারের বেশি বেকার যুবক-যুবতী। তার মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৭৯ জন। আর অশিক্ষিতের সংখ্যা এক লক্ষ ১২ হাজার ৪২০ জন। নাম নথিভুক্তকারীদের মধ্যে মাত্র ২১ জন বিভিন্ন সরকারি অফিস ও করপোরেশনে চাকরি পেয়েছেন। অথচ ওই কর্মসংস্থান কেন্দ্র চালাতে মধ্যপ্রদেশ সরকারকে কোষাগার থেকে খরচ করতে হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা।
চলতি বছরেই রাজ্যে বিধানসভার ভোট। আর ওই ভোটে বেকারদের কর্মসংস্থান বড় ইস্যু হতে চলেছে। শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্বকে প্রধান হাতিয়ার করে ঝাঁপাতে চলেছে কংগ্রেস। বুধবার কংগ্রেস বিধায়ক মেবারাম জাতাব বলেছেন, ‘মধ্যপ্রদেশ সরকার কার্যত ঋণ করে ঘি খাচ্ছে। জলের মতো টাকা অপচয় করছে। বেকারত্ব সমস্যার কোনও সমাধান হচ্ছে না।’