-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 4:16 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: উপন্যাসের সেই ইন্দুবালার হোটেল বাস্তবে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের পাবনায়। কল্লোল লাহিড়ীর ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ উপন্যাসে বর্ণিত সেই সমস্ত পদ-সহ বাংলার বহু পুরনো পদ এই হোটেলে রান্না হচ্ছে প্রতিদিন। আর হোটেলের এমন নাম শুনেই দুপুর হলেই খাওয়ার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন রসিক মানুষজন। খেতে ঢুকলে খাবারের থালা হাতে আপ্যায়ন করতে এগিয়ে আসছেন লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরা মহিলারা।
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের জালালপুর এলাকায় এই ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে। হোটেলের মেনুতে রয়েছে কুমড়ো ফুলের বড়া, বিউলির ডাল, ছ্যাঁচড়া, আম–তেল, মালপোয়া, চিংড়ির হলুদ গালা ঝোল, চন্দ্রপুলি এবং কচুবাটা। এগুলি ছাড়াও রয়েছে নারকেল দিয়ে কচুবাটা, আম দিয়ে নলা মাছ, কুমড়োর ছক্কা, পারশে মাছের ঝোল, আম-তেলের বেগুনভাজা। মেনুবোর্ডে খাবারগুলির পাশে তার দাম লেখা রয়েছে।
দুপুর হওয়ার আগেই হোটেলে খাবার জন্য ভিড় শুরু হয়ে যায়। অনেক পদ সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায়। পছন্দের পদের স্বাদ গ্রহণ করতে তাই আগেভাগে চলে আসেন ভোজনরসিক মানুষ। শুধু পাবনা জেলা শহর নয়, হোটেলে খেতে আসেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষ। হোটেলে যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের পোশাকেও রয়েছে বিশেষ ধরণ। মেয়েরা লালপেড়ে সাদা শাড়ি এবং ছেলেরা সাদা টি শার্ট পরে খাবার পরিবেশন করছেন। টি শার্টে লাল রঙে লেখা ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। স্টিলের থালার ওপর কলাপাতায় পরিবেশন করা হয় ভাত-সহ সমস্ত পদগুলি। হোটেলটির মালিক সোহানী হোসেন বলেন, ‘হারিয়ে যেতে বসা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কিছু বাংলা খাবারের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পরিচয় ঘটানো ও কম খরচে সাধারণ মানুষের খাবারের সুযোগ করে দিতে এই হোটেল।’