-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 9:20 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: রামধনু জগতের(Rainbow Family) আরও এক নক্ষত্রের পতন ঘটে গেল নিঃশব্দেই। যে একদিন দুনিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ব্যতিক্রমী পথে হেঁটেছিলেন, রামধনু পরিবারের মানুষদের মনে সাহাস জুগিয়েছিলেন, তিনিই নিজেকে শেষ করে দিলেন এক হৃদয়স্পর্শী চিঠি লিখে। কেলিগ স্কট(Kayleigh Scott)। কোভিডকালে এই নামটাই ঝড় তুলেছিল বিশ্বের দরবারে। কেননা মার্কিন আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা United Airlines ২০২০ সালে তাঁদের Diversity Campaign-এ মুখ হিসাবে তুলে ধরেছিল এই কেলিগ স্কটকেই। কেননা কেলিগ ছিলেন Transgender। বিশ্বের প্রথম Transgender Flight Attendant। সেই কেলিগ কিনা মাত্র ২৫ বছর বয়সেই নিজেকে শেষ করে দিলেন! কিন্তু কেন? প্রশ্ন ঘুরছে দুনিয়াজুড়ে।
জানা গিয়েছে চলতি সপ্তাহের সোমবার মার্কিন মুলুকের কলরেডোতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন কেলিগ। কিন্তু তার আগে এক আবেগঘন চিঠিতে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন অনেকের কাছ থেকেই যে তিনি ‘ভালো’ হয়ে উঠতে পারলেন না। সেই চিঠি সামনে আসাতেই এখন প্রশ্ন ঘুরছে ঠিক কী হয়েছিল কেলিগের সঙ্গে যে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই পৃথিবীকে বিদায় জানালেন স্কট। রামধনু পরিবারের সদস্যদের প্রায়শই হতাশায় ডুবে থাকতে দেখা যায় সমাজে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠে আসায়। এখনও তথাকথিত সভ্য জগতের অনেকেই তাঁদের রীতিমত ঘৃণা করেন। পদে পদে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, বঞ্চনা করেন, লাঞ্চিত করেন, আর যৌন নিগ্রহ বা শারীরিক হেনস্থার ঘটনা তো রয়েইছে। সব থেকে বড় কথা এরা খুব কাছের লোক, পরিবারের লোক, নিজের মানুষের কাছেও চূড়ান্ত ভাবে অপমানিত হয়। তাই প্রশ্ন উঠেছে কেলিগের সঙ্গেও কী এইরকমই কিছু ঘটেছিল, যার জেরে এই চরম পদক্ষেপ নিয়ে নিল বিশ্বের রামধনু পরিবারের মানুষদের মাথা উঁচু করে নিজের মতো করে বেঁচে থাকার রাস্তা দেখানো কেলিগ!