এই মুহূর্তে




বাঙালি হিন্দু বিবাহের রীতিতে কী কী বিবাহ পূর্ব আচার থাকে, জানেন কী ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় : বিবাহ বা বিয়ে হল একজন পুরুষ ও নারীর জীবনে একটি বিশেষ অঙ্গ। এই সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পুরুষ ও নারীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর ফলে তারা আজীবন একে অপরের জীবনসঙ্গী রূপে একসাথে জীবনের পথ চলতে বদ্ধপরিকর হয়। তবে এই বিবাহ অনুষ্ঠানটি অনেকগুলি আচারের মধ্যে দিয়ে সুসম্পন্ন হয়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে দুই ধরণের আচার থাকে। প্রথমটি হল বিবাহ পূর্ব আচার ও এরপর বিয়ের মূল পর্ব শুরু হয়।  তবে এখানেই শেষ নয়। এরপরে আবার থাকে বিবাহ পরবর্তী আচার।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, বিবাহ পূর্ব আচার মোট ৬ টি পর্বে হয়ে থাকে। তবে, এগুলির সবই যে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই এক, এমনটা নয়। আবার সকল বর্ণের মানুষের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মের প্রচলন থাকেনা। বিবাহ পূর্ব আচারের এই পর্বগুলি হল : পাটিপত্র, পানখিল, আইবুড়ো ভাত, দধি মঙ্গল, নান্দীমুখ (বৃদ্ধি ), শঙ্খ কঙ্কন ও গায়ে হলুদ।

পাটিপত্র হল হিন্দু বিবাহের প্রথম আচার। এই আচার লগ্নপত্র বা মঙ্গলাচরণ নামেও পরিচিত। ঘটকের মাধ্যমে সম্বন্ধ করে বিবাহ স্থির হলে নগদ বা গহনাপত্রে যৌতুক ও অন্যান্য দেনাপাওনা চূড়ান্তভাবে স্থির করার জন্য যে অনুষ্ঠান হয়, তাকেই পাটিপত্র বলে। এই আচারের মাধ্যমেই বিবাহের অন্যান্য আচারের সূচনা ঘটে।

পানখিল হিন্দু বিবাহের দ্বিতীয় আচার, যা পাটিপত্রের ঠিক পরেই পালিত হয়। পানখিলের অর্থ পান পাতায় আনুষ্ঠানিকভাবে খিল দেওয়া বা খড়কে বেঁধানো। এই আচারটি প্রথমে বরের বাড়িতে এবং পরে কনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। পানখিল আচারে বাড়ির মেয়েরা এবং প্রতিবেশিনীরা বিয়ের গান গেয়ে থাকে। এই গানের বিষয়বস্তু হল রাম ও সীতার বিবাহ।

বিয়ের আগের দিনে তৃতীয় আচার বা আইবুড়ো ভাত অনুষ্ঠান পালিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি ছেলে এবং মেয়ের বাড়িতে আলাদাভাবে করা হয় । এটি হল বিয়ের আগের শেষ অবিবাহিত অবস্থায় খাওয়া । মেয়েদের বিয়ের পর নিজের পরিবারের সাথে আপেক্ষিক ভাবে সম্পর্ক শেষ হয়। সেদিক দিয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি তাদের বাপের বাড়িতে শেষ আনুষ্ঠানিক খাওয়া।

এর পরবর্তী আচার হল দধি মঙ্গল। বিবাহের দিন বর ও কন্যার উপবাস। তবে উপবাস নির্জলা নয়। জল মিষ্টি খাওয়ার বিধান আছে। তাই সারাদিনের জন্য সূর্য্যোদয়ের আগে বর ও কন্যাকে চিঁড়ে ও দই খাওয়ানো হয়।

নান্দীমুখ অনুষ্ঠানটি হল বিশেষত শুভকর্ম শুরুর আগে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা। এরপর তাঁদের উদ্দেশ্যে জল দান করা হয় ও তাঁদের আশীর্বাদ গ্রহণ করা হয়।

শঙ্খ কঙ্কন অনুষ্ঠানে কন্যাকে শাঁখা পরানো হয়। বিয়ের আগের দিন কন্যাকে শাঁখা পরানো হয়। বিকালে বিবাহের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এরপর হয় গায়েহলুদ । সংস্কৃত ভাষায় এই রীতিকে বলা হয় গাত্রহরিদ্রা। হিন্দু ধর্মে কয়েকটি জিনিসকে শুভ বলা হয়। যেমন : শঙ্খধ্বনি, হলুদ ইত্যাদি। প্রথমে বরকে ও  সারা গায়ে হলুদ মাখানো হয়। এরপরে সেই হলুদ নতুন শাড়ি,গামছা এবং অন্যান্য জিনিসসহ ছেলের বাড়ি থেকে কন্যার বাড়ি পাঠানো হয়। তারপর কন্যাকে সেই হলুদ মাখিয়ে স্নান করানো হয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মীর রূপ, আপনার পায়ে এই চিহ্নগুলো আছে কিনা নিজেই দেখে নিন

কালো প্লাস্টিকের বাসনে খাবার খাচ্ছেন ? আজ থেকেই সাবধান হন…

কমলাকে হারিয়ে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিশ্বের সেরা ১০ মহিলা ধনকুবেরকে চেনেন? রইল তালিকা

মালদায় আমের দেশে এবার ফলছে কমলালেবু

কানাডায় দিন দিন বাড়ছে স্বেচ্ছামৃত্যুর সংখ্যা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর