এই মুহূর্তে




টিকটিকির অপেক্ষায় বিসর্জন ! আট পুরুষ ধরে বনেদি বাড়ির পুজোর অদ্ভুত নিয়ম

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : বনেদি বাড়ির পুজো মানেই আলাদা ঐতিহ্য। তবে সব বনেদি বাড়ির পুজো একইরকমভাবে ভাবে হয় না। আপনি যদি নদিয়ার কালীগঞ্জ ব্লকের মাটিয়ারি গ্রামে যান। সেখানে বনেদি বাড়ির পুজোয় দেখতে পাবেন অভিনব বিশেষত্ব।এই বনেদি বাড়ির পুজোর নিয়ম শুনলে চমকে যাবেন বটে। টিকটিকি না এলে প্রতিমা বিসর্জন করা হয় না। দীর্ঘ আট পুরুষ ধরে চলে আসছে এই নিয়ম।

এক সময়ে এটি জমিদার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজো বলে সকলে চিনতো। পরবর্তীকালে এটি বদলে রামসীতা বাড়ির দুর্গাপুজোয় পরিণত হয়। এই নামে লোকে সবথেকে বেশি চেনে। কখনো মাটিয়ারা গ্রামে পা রাখলে শুধু বলবেন রামসীতা বাড়ির দুর্গাপুজো ব্যস পথ চিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার লোকের অভাব হবে না।

কেন এটি রামসীতা বাড়ির দুর্গাপুজো নামে পরিচিত হল,এই প্রশ্নের উত্তর হল এই বাড়ির সম্মুখ ভাগের পুজো দালানে রামসীতার প্রাচীন বিগ্রহ রয়েছে। নিত্যপুজো হয়। রামনবমীতে বড় উৎসব ও মেলাও হয়। তাই এটি রামসীতা বাড়ির দুর্গাপুজো নামে পরিচিত। এই বাড়ির দুর্গাপুজো বেশ পুরোনো। এই নিয়ে পুজোবাড়ির বর্তমান কর্তা রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আট পুরুষের পুজো আমাদের। প্রায় ২৭৫ বছরের প্রাচীন।”

আপনি কী জানেন এই বনেদি বাড়ির পুজোয় প্রতিমা বিসর্জনের নিয়ম কি ? তা হল টিকটিকির সু্ত্র। টিকটিকি না এলে প্রতিমা বিসর্জন করা হয় না।যদি টিকটিকি দেখা যায় তবেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। একইসঙ্গে সেই টিকটিকি ধরে পকেটে পুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেই টিকটিকি ছেড়ে দেওয়া হয় বাড়ির দালানে।

পুজোবাড়ির বর্তমান কর্তা রামতনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া আর নদিয়ার বল্লভপাড়া ঘাটের মাঝে ভাগীরথী নদীতে আমাদের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।এপারে বিসর্জন ঘাটে নদীতে প্রতিমা নামাতেই প্রতি বছরই কোথা থেকে দু’তিনটি টিকিটিকি চলে আসে। কালচে রঙের নয়, বেশ দুধ আলতা রং।

তিনি আরও জানান,পূর্বপুরুষরা যা করতেন, তাঁরাও সেই ধারা মেনে চলেন।প্রতিমা বিসর্জনের শেষে পাঞ্জাবির পকেটে ভরে সেই টিকটিকি নিয়ে তাঁরা পুজো বাড়িতে ফেরেন।সেখানে পুজো বাড়ির দুর্গা দালানে ছেড়ে দেয় সেই টিকটিকি।তাঁদের বিশ্বাস, দুগ্গা মায়ের প্রেরিত এই টিকটিকি তাঁদের গোটা পরিবারকে সমস্ত বাধা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে। পরিবারে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে।’

রামসীতা বাড়ির আরও এক রহস্য : তবে এখানেই শেষ নয় রামতনু আরও জানান, টিকটিকির পাশাপাশি আরও এক নিয়ম রয়েছে যা বংশানুক্রমে চলে আসছে। তা হল বাড়িতে রামসীতার বিগ্রহ থাকায় বাড়ির সব পুত্রের নামের সঙ্গে রাম শব্দটা থাকেই। তাঁদের সাতপুরুষের নাম হল- বলরাম, রামমোহন, রামদাস, রামকমল, রামরঞ্জন, রামরেণু, রামজীবন। এরপর তাঁর দাদা রামনারায়ণ আর তাঁর পরে রামতনু এই পুজো করছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, উৎসবের মরসুমে আকাশ ছুঁল সোনার দাম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর