আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে টানা ৩০ বছর ধরে শৌচাগারের ভিতরেই তৈরি হচ্ছিল সিঙারা সহ জলখাবার। শুধু তাই নয়, সেই জলখাবার তৈরিতে প্রায় দু’বছর পুরনো মাংস ও চিজ-ও ব্যবহার করা হচ্ছিল। সরল মনেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার খাচ্ছিলেন খদ্দররা। অবশেষে গোপন তথ্য ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হল রেস্তোরাঁটি। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবের জেদ্দায়।
মঙ্গলবার ‘গালফ নিউজ’ এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘সম্প্রতি গোপন সূত্রে জেদ্দা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকরা জানতে পারেন আবাসিক এলাকাতেই রমরমিয়ে চলছে এক রেস্তোরাঁ। আর ওই রেস্তোরাঁর জলভাবার তৈরি হচ্ছে শৌচাগারে। খবর পেয়েই হানা দেয় বিশেষ দল। রেস্তোরাঁয় ঢুকেই তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে পড়ে। তাঁরা দেখতে পান, নোংরা পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন জলখাবার তৈরির উপকরণ। এমনকী যে মাংস ও চিজ ব্যবহার করার জন্য মজুত করা হয়েছিল, তাও অনেকদিনের পুরনো অর্থাৎ মেয়াদোত্তীর্ণ। গোটা রান্নাঘরে আপনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইঁদুর। দেওয়ালে বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়। অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে সঙ্গে সঙ্গেই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জেদ্দা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির পাশাপাশি রেস্তোরাঁটিতে কর্মরত অধিকাংশ কর্মীর কোনও হেলথ কার্ড নেই।’
গত কয়েক মাস ধরেই শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে শুরু করেছে জেদ্দা পুর কর্তৃপক্ষ। অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে যেমন একাধিক রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হয়েছে, তেমনই এক টনের বেশি খাদ্যসামগ্রী নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ইঁদুর দেখতে পাওয়ায় জেদ্দার অন্যতম বিখ্যাত রেস্তোরাঁ ‘সোয়ারমা’র দরজায় তালা ঝোলানো হয়েছিল।