এই মুহূর্তে




বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ৭ বছর করল ইউনূস সরকার  




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: যত খুশি বিয়ে করার জন্য আগেই ছাড়পত্র দিয়েছিল মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। আর এবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহবাস তথা ধর্ষণকেও বৈধতা দিয়ে দিল। শেখ হাসিনা জমানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড। সেই শাস্তি কমিয়ে মাত্র সাত বছরের সাজার বিধান রেখে নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এমন অধ্যাদেশে খানিকটা বিস্মিত আইনজীবীরা। তাদের মতে, নয়া শাস্তি ধর্ষকদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহবাস বা ধর্ষণে উ‍ৎসাহিত করা হবে। ধর্ষকদের প্রতি আচমকা এত নরম মনোভাব কেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইউনূসের প্রেসসচিব তথা জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশ সুরার সদস্য শফিকুল আলম বলেছেন, ‘ধর্ষকরা তো আমাদের সমাজের। ফলে তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তাদের পরিবারকে সন্তান হারানোর সাজা দেওয়া সঠিক নয়।’

রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের মতো নরক যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন পাঁচ বছরের শিশুকন্যা থেকে শুরু করে অশীতিপর বৃদ্ধাও। কয়েকদিন আগে খোদ রাজধানীতেই এক মহিলা সাংবাদিককে টানা সাত ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই শারীরিক পরীক্ষার জন্য র ভর্তি হয়েছে চার শিশু-সহ পাঁচজন। একাধিক শিশু ও মহিলা বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে প্রতি মিনিটে একজন করে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করছেন না নির্যাতিতা। অনেক ক্ষেত্রে গ্রামীণ মানুষের নিরক্ষতার সুযোগ নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ধর্ষণের অভিযোগকে ধর্ষণ বলে নথিভুক্ত করছেন না। ফলে যত ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তার চেয়ে বাস্তবে বেশি ঘটছে।

ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যখন কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে দেশজুড়ে, তখন উল্টোপথে হাঁটল ইউনূস সরকার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনায় দোষীর শাস্তি কমানো হল। শেখ হাসিনা জমানায় ধর্ষণ রুখতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ বা ২০০০ সনের ৮ নং আইন নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ৯-এর (১) নং ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। ধর্ষকদের পাশে দাঁড়াতে ওই আইনকে বাতিল করে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক সংশোধনী আনা হয়েছে। ইউনূসের প্রেসসচিব তথা জামায়াত ইসলামী নেতা শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড করা হচ্ছে।’ গত সোমবারই ওই অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল আইন মন্ত্রক। আর এদিন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ওই অধ্যাদেশকে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভারত ছাড়ার ধুম, কেন্দ্রের দাওয়াইয়ে হাজার হাজার লোক ফিরছেন পাকিস্তানে

বেঁচে ফিরেছিলেন মৃত্যুর মুখ থেকে, ৩ কোটিরও বেশি টাকায় বিক্রি হল টাইটানিক যাত্রীর চিঠি  

দীর্ঘ  দু’দশকের প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে সিবিএসই’র স্বীকৃতি পেল লাদাখের র‍্যাঞ্চো স্কুল

মন্দির ধ্বংসের হুমকি দিয়ে মুসলিম যুবক মাতলেন পহেলগাঁও হামলার আনন্দে, উচিত শিক্ষা দিলেন স্থানীয়রা

সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়, বাজেয়াপ্ত BMW, ২৮ একর জমি

পহেলগাঁওকাণ্ডের জের, নিয়মের গেরোয় মাকে ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরতে হল একরত্তি শিশুকে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর