নিজস্ব প্রতিনিধি: খুনের একদিনের মধ্যেই তার কিনারা করল পুলিশ (Police)। রবিবার বাগুইআটিতে খুন হয়েছিলেন বৃদ্ধ। পেশায় ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল শৌচাগার থেকে। মুখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছিল দেহ। মৃতদেহ পরীক্ষা করার জন্য তা পাঠানো হয়েছিল ময়নাতদন্তে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছিল মৃতের দুই নাতিকে। মৃত বৃদ্ধ পেশায় ছিলেন চাল ব্যবসায়ী। তাঁর নাম জগদীশ মল্লিক। বসবাস করতেন বাগুইআটির অশ্বিনী নগরে। সোমবার পুলিশি জেরায় জানা গেল, সম্পত্তির লোভে দুই নাতিই খুন করেছিল দাদুকে। এই তথ্য উঠে আসার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ধৃত ছিল মৃতের নাতি। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে তারা স্বীকার করে নেয় খুনের কথা। জানা গিয়েছে, দফায় দফায় চালানো হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই ভেঙে পড়েছিল ধৃতরা। স্বীকার করার পর পরম ও মনোহরকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রথমে হাত- পা বেঁধে বাঁশ দিয়ে মারা হয় ওই বৃদ্ধকে। তারপর জগদীশকে ফেলে দেওয়া হয় বাথরুমে। এরপর দুই নাতি চালায় লুঠপাট। তারপর পালিয়ে যায় মনোহর ও পরম।
প্রসঙ্গত স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। আর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার রাত নাগাদ বৃদ্ধের বাড়ি থেকে হঠাৎ চিৎকারের শব্দ আসে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। বৃদ্ধের ঘরে গেলে দেখতে পান ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর স্থানীয়দের তৎপরতায় খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। ঘরের দরজা ভাঙে পুলিশ। সমস্ত ঘরে খোঁজা হয়। তারপর দেখা যায় বাথরুমে মুখ ও হাত ঢাকা অবস্থায় পড়ে আছেন ওই বৃদ্ধ। তারপর তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দেহ পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছে ব্যবসায়ীর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, পুরো ঘর ছিল লণ্ডভণ্ড। বাথরুমে ওই বৃদ্ধের মুখ ও হাত বাঁধা ছিল কালো কাপড়ে। দেহ ছিল ভেতরে এবং পা বেরিয়ে ছিল বাথরুমের বাইরে।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের সোমবার তোলা হবে আদালতে। তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে। কেন সম্পত্তির বিবাদ নিয়ে খুন (Murder), জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা নিয়েও। দাদুকে সম্পত্তির জন্য খুন করেছে, এই তথ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।