এই মুহূর্তে




‘মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলাম না’, একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে ডিগবাজি জামায়াতের শীর্ষ নেতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন ত‍ৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে নিরীহ হিন্দুদের গণহত্যায় মেতে উঠেছিল। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করার অপরাধে মেয়েদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের জন্য তুলে দিত নরিশাচ পাকিস্তানি সেনাদের হাতে। জামায়াত ইসলামী নেতাদের ওই অপরাধ সর্বজনবিদিত ও ইতিহাস স্বীকৃত। অথচ বুধবার (১২ নভেম্বর) ডিগবাজি খেয়ে উল্টো সুর গেয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না জামায়াত ইসলামী। শুধু ভারতের বিরুদ্ধে ছিল।’ আজহারুলের ওই দাবি নিয়ে রীতিমতো হাসি-মশকরায় মেতে উঠেছেন নেটা নাগরিকরা। জামায়াতের শীর্ষ নেতাকে বিঁধে তারা লিখেছেন, ‘আস্তে কন কত্তা। শুনলে ঘোড়ায়ও হাসবো।’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর দেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগ ভোটের ময়দানে না থাকায় ‘নেপোয় দই মারার’ মতো সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু তাঁদের স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকা। ইতিমধ্যেই জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমান একাত্তরের গণহত্যা ও গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। যদিও সেই ক্ষমাপ্রার্থনায় খুব একটা লাভ হয়নি। ফলে নয়া কৌশল নিয়েছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। নিজেদের অতীতের কীর্তিকলাপ মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হিসাবে দাবি করেছেন।

এদিন সকালে ফেনীর দাগনভূঞায় এক পথসভায় একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে নয়া তত্ত্ব হাজির করেছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় দলের ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলাম না, আমরা স্বাধীনতার পক্ষে কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ছিলাম। এজন্য আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। যে মিথ্যা মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। যারা জামায়াত নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে উল্লাস করেছে তারা আজ কোথায়? আমাদের মহান নেতা শহীদ মীর কাসেম আলী যখন বিদেশে ছিলেন তখন দেশ থেকে অনেকেই ফোন করে দেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যদি আমার অপরাধ হয় তবে যা হওয়ার হবে। আমি দেশকে ভালবাসি, দেশের মানুষকে ভালবাসি। আমি দেশে ফিরব। তখন তিনি দেশে ফিরে আসেন। চোরের মতো বিদেশে লুকিয়ে থাকেননি। পরে মিথ্যা সাজানো মামলায় তাকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে।’ এর পরে হুঙ্কার ছেড়ে আজহারুল বলেন, ‘ যারা জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তাদের অসহায় নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করে পালিয়েছে। আর যারা দেশের পক্ষে কাজ করে তারা কখনও পালায় না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১২ দিন পর রাশি পরিবর্তন করবে রাহু, এই রাশির জাতকদের ভাগ্য খুলবে

অমানবিক! জমি হাতাতে ১২ বছরের নাবালিকার গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে দিল কাকু-কাকিমা

ধর্মেন্দ্রর জুহুর বাড়ির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অটো চালক, কেন জানেন?

পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

দিনভর বন্ধ বিদ্যাসাগর সেতু, কোন বিকল্প পথে চলছে গাড়ি?

মুখোমুখি সংঘর্ষ কন্টেইনার ও বাসের, আহত ২৫ বাসযাত্রী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ