নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: এক তরুণী ফুটবলারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম চেন্নাই। পরিবার চিকিৎসার গাফলতির অভিযোগে সরব। নানা প্রান্ত থেকে মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের দাবি ওঠে। একপ্রকার চাপে পড়ে রাজ্য সরকার দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি তরুণীর পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা এবং একজনের চাকরির আশ্বাস দিয়েছে।
মৃত্যু হয়েছে ১৭ বছরের প্রিয়া। পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন প্রিয়া। চোট পান ডান হাঁটুতে। পরিবার প্রথমে তাঁকে পেরিয়ার নগর সরকারি হাসপাতালে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তার পা অপারেশন করেন। সুস্থ না হওয়া তরুণীকে চেন্নাইয়ের রাজীব গান্ধি হসপিটালে ভর্তি হওয়ার সুপারিশ করেন। পরিবার প্রিয়াকে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। বুঝতে পারেন অপারেশনে মারাত্মক ভুল হয়েছে। পরিবারকে জানায়, পা কেটে বাদ দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই। পরিবার তাতে সম্মতি দেয়।
সোমবার রাতে প্রিয়ার পা অপারেশন করে কয়েকটি টিস্যু বাদ দেয়। সেই অপারেশনের পর থেকে তাঁর আর জ্ঞান ফেরেনি। ছিল আইসিইউতে। মঙ্গলবার সকালে প্রিয়ার মা এবং দাদা হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিল। কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান ফেরে। দাদা ও মাকে সেটাই ছিল শেষ দেখা। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কথা ছড়িয়ে পড়লে রাজ্য সরকার দুই চিকিৎসকে সাততাড়াতাড়ি সাসপেন্ড করেন। আশ্বাস দেন ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ তদন্তের।
আরও পড়ুন Delhi: মহিলার পেট কেটে বাদ ফুটবল সাইজের টিউমার