নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: বৃষ্টি, ইংল্যান্ডের বাজবল-কোনও কিছুই কাজে এলো না। ১৮ বছর আগে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের কাছে ২ রানে হারতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। মঙ্গলবার সেই মাঠে ২৭ বল বাকি থাকতেই হাতে দুই উইকেট থাকতেই বেন স্টোকসদের হারিয়ে দুরন্ত জয় তুলে নিল প্যাট কামিন্সের ছেলেরা। ওলি রবিনসনের শর্ট বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দুই হাত তুলে যে লাফ দিলেন অজি অধিনাযক তা বহুদিন মনে থাকবে ক্রিকেট প্রেমীদের। প্রথম ইনিংসে ১৪১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রান করার সুবাদে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের শিরোপা ছিনিযে নিয়েছেন উসমান খাজা।
শেষ দিনে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৭৪ রান। আর ইংল্যান্ডের দরকার ছিল সাত উইকেট। সোমবার সারা রাত বৃষ্টির জন্য মাঠ ভিজে যাওয়ায় এদিন নির্ধারিত সময় শুরু হতে পারেনি খেলা। আদৌ ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় চিল। শেষ পর্যন্ত সোয়া তিন ঘন্টা বাদে শুরু হয় ম্যাচ। শুরু থেকেই উইকেট পেতে ঝাঁপান ইংল্যান্ডের বোলাররা। নৈশ প্রহরী স্কট বোল্যান্ডকে ফেরান স্টুয়ার্ট ব্রড। খানিকবাদে মঈন আলির বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ট্র্যাভিস হেডও। এর পরে ক্যামেরন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে ইংলিশ বোলারদের আক্রমণ সামলান উসমান খাওয়াজ। চা বিরতিতে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল পাঁচ উইকেটে ১৮৩। শেষ সেশনে দরকার ছিল ৯৮ রান। প্রথম ইনিংসে শতরানের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধ শতরান করে ৩৪ বছর আগে করা স্বদেশীয় মার্ক টেলরের রেকর্ড ছুঁয়েছেন।
চা বিরতির পরেই গ্রিনকে ফিরিয়ে দেন ওলি রবিনসন। সাজঘরে ফেরার আগে খাজার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ৪৯ রান এনে দিয়েছেন। ৬৫ রানে শেষ হয় খাজার ইনিংস। অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে অজি শিবিরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেন জো রুট। ক্যারি ফেরার সময়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল আট উইকেটে ২২৭। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫৪ রানের। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বাদে অজি দলে আর কোনও স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিলেন না। কিন্তু নাথান লায়নকে নিয়ে বেন স্টোকস-জো রুটদের আক্রমণ সামাল দিলেন মাথা ঠাণ্ডা করে। ৮৬ তম ওভারে গিয়ে নতুন বল নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। কিন্তু দিনটা সত্যিই ইংল্যান্ডের ছিল না। শেষ পর্যন্ত অনায়াসেই ২৭ বল বাকি থাকতে দলকে জয় এনে দিয়েছেন অজি অধিনায়ক। যোগ্য সঙ্গত করেছেন নাথান লায়নও।