আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দারিদ্র্য আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করাটা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকাদের কাছে একেবারে সাধারণ একটি ঘটনা। পেলে কিম্বা গারিঞ্চা, রোমারিও বা রিভালদোরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সময় বদলে গেলেও পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদলায়নি। বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে এখনও ফুটবল দুনিয়ায় আলো ছড়াচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারেরা। সেই তালিকায় আরও একটি নাম যুক্ত হল –রাফিনহা। এই সেই ফুটবলার যাকে নিয়ে কিছুদিন আগে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে গেল চেলসি আর বার্সেলোনা। লড়াইয়ে জিতে লিডস ইউনাইটেড থেকে এই রাফিনহাকে তারা ক্যাম্প ন্যুতে নিয়ে যায়। রাফিনহা এখন দলের প্রধান ভরসা।
তবে এই তারকা হয়ে ওঠার পিছনে যে লড়াই রয়েছে তা হলিউডের যে কোনও ছবিকেও হার মানাবে। রাফিনহা জানিয়েছেন, জীবনে অনেক সুযোগ আসে। সেই সুযোগ অসদুপায়ে আপনাকে অর্থ উপার্জনের সহজ পথের প্রতিশ্রুতি দেয়। আর সেই ফাঁদে পা দিলে মানুষ হারিয়ে যায়। আমি কখনও সে পথে যাইনি। তবে আমি সাক্ষী হয়েছি, সেই মানুষদের পাশে হেঁটেছি, যারা হারিয়ে গিয়েছে।আজ কেউ যদি ফুটবলে আমার জাদু নিয়ে কথা বলে, তাহলে বলব এটাই আসল জাদু।
এই জাদু অবশ্য একদিনে আসেনি। দিনের পর দিন সেই প্রলোভন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। একসময় খাবারের জন্য তাকে রাস্তায় ভিক্ষাও করতে হয়েছিল। অনুশীলনের জন্য যেতে হত বাড়ি থেকে অনেক দূরে। পকেটে বাড়তি কোনও পয়সা থাকত না। স্বপ্নের পথে যাত্রায় পরিবার কীভাবে তাঁর পাশে ছিল, তা জানাতে গিয়ে রাফিনহা বলেছেন, ‘আমার পরিবারের কারণেই আমি স্কুল থেকে ঝরে পড়িনি এবং ভুল পথে পা দিইনি। তাদের কারণেই আমি আজ এখানে।