নিজস্ব প্রতিনিধি: স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনালে ফের ‘এল ক্লাসিকো’র সাক্ষী থাকতে চলেছেন বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা। কেননা, ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সমীহ জাগানো দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। বুধবার রাতে আট গোলের নাটকীয়তায় চির শত্রু আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল কার্লো আনচেলেত্তির ছেলেরা। আর বৃহস্পতিবার রাতে ওসাসুনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল বার্সেলোনা। দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি ও লামিন ইয়ামাল।
সৌদি আরবের রিয়াদের কিং সউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ওসাসুনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জাভি হার্নান্ডেজের ছেলেরা। একের পর এক আক্রমণের ঝড় আছড়ে পড়েছিল ওসাসুনার বক্সে। একের পর এক সুযোগ পেলেও কাঙ্খিত গোল পাননি লেভানডফস্কি-রাফিনিয়া-গুন্দোয়ানরা। উল্টে মাঝে মধ্যে প্রতি আক্রমণে উঠে গিয়ে বার্সার রক্ষণের পরীক্ষা নিচ্ছিল ওসাসুনার ফরোয়ার্ডরা। প্রথমার্ধের খেলা গোল শূন্যভাবেই শেষ হয়। ফলে চাপে পড়ে যায় বার্সার খেলোয়াড়রা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপান লেভানডফস্কি-গুন্দোয়ানরা। তাতে ফল মেলে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ইলকায় গুন্দোয়ানোর বাড়ানো বল চলে যায় অরক্ষিত অবস্থায় দাঁড়ানো লেভানডফস্কির কাছে। অব্যর্থ নিশানায় ওসাসুনার জাল কাঁপিয়ে দলকে এগিয়ে দেন পোলিশ তারকা ফুটবলার। এগিয়ে যাওয়ার পরে ব্যবধান বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান রাফিনিয়ারা। কিন্তু ওসাসুনার রক্ষণের খেলোয়াড়দের গড়ে তোলা দুর্ভেদ্য দুর্গ ভাঙতে পারেননি তারা। চোট পেয়ে এদিন মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন রাফিনিয়া। তাঁর জায়গায় মাঠে নামেন তরুণ খেলোয়াড় লামিন ইয়ামাল। সংযুক্ত সময়ের তিন মিনিটের মাথায় জোয়াও ফেলিক্সের বাড়ানো বল ওসাসুনার জালে জড়িয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে বার্সা। আগামী রবিবার ১৪ জানুয়ারি সুপার কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। গত বছর সুপার কাপ ফাইনালে রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল বার্সেলোনা। এবার মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে রিয়ালের কাছে।