নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে পরাজয় হয়েছে ভারতের। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২১ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনালে ভারত ৮ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। পর পর দুবার এমন সুযোগ পেয়েও কেন তা ভারতীয় ক্রিকেট দল কাজে লাগাতে পারল না তা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মতে, বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএল-এর দিকেই বেশি ফোকাস করতে ব্যস্ত। টেস্টে ক্রিকেটের জন্য তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই। এই ম্যাচে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে তাঁদের মতে, চলতি বছরের আইপিএল শেষ হয়েছে ২৯ মে, আর তার আটদিন বাদেই আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে হল ভারতীয় দলকে। ফলে ক্রিকেটারদের ক্লান্তি থাকাটাই স্বাভাবিক। এটাও পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ইংল্যান্ডের মাঠে আবহাওয়ার সঙ্গে ঠিকমতো মানিয়েও নিতে পারেননি ভারতীয়রা । ফলে তার প্রভাব পড়েছে মাঠে।
আরও জানতে পড়ুন : আইসিসির শাস্তির মুখে পড়ল দুই দলই, রয়েছেন শুভমনও
তাঁরা আরও মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া দলে একমাত্র ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামরন গ্রিন ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটার আইপিএল-এ খেলেননি। তার পরিবর্তে ভারতীয় দলে একমাত্র পূজারা বাদে সবাই দীর্ঘমেয়াদি আইপিএল অংশ নিয়েছেন। ফলে দীর্ঘদিন টি-টোয়েন্টি খেলে টেস্টে ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়া যে যথেষ্ট কষ্টকর তা স্বীকার করেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তাঁরা আরও বলেন, আইসিসি আগেই ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে দেয়। কাজেই সে ক্ষেত্রে বিসিসিআই-এর উচিত ছিল মার্চ মাসেই আইপিএল শেষ করে দেওয়া।
আইপিএল-যে ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলিরও ক্ষতি করেছে বলেই মনে করেন তাঁরা। তাঁদের মতে, আইপিএল-এ একজন ক্রিকেটার ভালো খেললেই তাঁকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়, অথচ ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভালো খেলা একজন ক্রিকেটার পর্দার আড়ালেই থেকে যান। কাজেই এবার থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলিতেও বিসিসিআইকে নজর দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা। না হলে ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় দল ক্ষতির মুখে পড়বে বলেই মত তাঁদের।