নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজিয়াবাদ: জাতীয় স্তরের ক্রিকেটার (National level) এবং বিশেষভাবে সক্ষম। উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দিল্লির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে সকলে চমকে ওঠে। মাত্র ২০ বল খেলে করেন ৬৭ রান।
সেই পারফরম্যান্স (performance) দেখে নানা প্রান্ত থেকে বহু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটারদের সংগঠন থেকেও তাকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা আর লকডাউনের কারণে সেই সংস্থা উঠে যায়। অন্যদিকে অর্থের অভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এক সহৃদয় ব্যক্তি হাতে তুলে দেন কিছু অর্থ। সেই অর্থ দিয়ে দুধ (Milk) কিনে বিক্রি করা শুরু। কিছু টাকা জমিয়ে কেনে ই-রিক্সা। এখন সেই রিক্সা চালিয়ে আর দুধ বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে দিন যাপন করেন জাতীয় স্তরের বিশেষভাবে সক্ষম ওই ক্রিকেটার। শুরু হয় আরও এক লড়াই – বেঁচে থাকার।পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই ক্রিকেটারের।
তরুণ এই ক্রিকেটারের নাম রাজা বাবু ( Raja Babu) । সংবাদমাধ্যমকে সে জানিয়েছেন- স্বপ্ন দেখেছিলাম ক্রিকেট খেলেই জীবনধারণের। আচমকাই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে জারি লকডাউন। ফলে সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। হাতে টাকা নেই। বাড়িতে বউ- দুই মেয়ে। কীভাবে সংসার চালাব, সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। এক ব্যক্তি হাতে কিছু টাকা তুলে দেন। সেই টাকা দিয়ে দুধ কিনে বিক্রি করা শুরু করি। সংসারের জন্য কিছু অর্থ রেখে বাকিটা জমাতে শুরু করি।সেই টাকা দিয়ে একটা ই-রিক্সা কিনি। এখন সকালে দুধ বিক্রি করি। পরে রিক্সা চালাই।