নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল করতে হয়েছিল। বাদ যায়নি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপও। ২০২০ সালে অষ্টম টি-টুয়েন্টির আসর বসার কথা থাকলেও তা বাতিল করে দেয় আইসিসি। শেষ পর্যন্ত মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমায় নির্দিষ্ট সময়ের দু’বছর বাদে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসেছিল টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর।
সর্বশেষ প্রতিযোগিতায় বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে ঘরের মাটিতে অ্যারন ফিঞ্চ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের ফেভারিট হিসেবে ধরা হয়েছিল। তাছাড়া হট ফেভারিটের তালিকায় ছিল ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত। নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশাল রানের ব্যবধানে পরাজিত হয় গত বারের চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়াও। ফলস্বরূপ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় অজিদের। প্রথম ম্যাচে হারলেও সেমিফাইনালে উঠতে সফল হয় রোহিত শর্মারা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। অনায়াসে কিউইদের হারিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়ে যান বাবর আজমরা। ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিতে হয় রোহিত শর্মাদের।
১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। স্যাম কুরানের বিধ্বংসী বোলিংয়ের জেরে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তোলে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন শান মাসুদ (২৮ বলে ৩৮)। এত অল্প রান নিয়ে বাবর আজমরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই চালাতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। কিন্তু অল্প রানের পুঁজি নিয়ে দুর্দান্ত লড়াই চালায় বাবর আজমের ছেলেরা। প্রথম ওভারেই ইংলিশ শিবিরে ধাক্কা দেন পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি। প্রথম ছয় ওভারে ৪৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। সেই ধাক্কা সামাল দেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। ৪৯ রানে ৫২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বেন স্টোকস। ১৯ ওভারেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেন একদিনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানরা। ফাইনালে অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ইংল্যান্ডের স্যাম কুরান।