নিজস্ব প্রতিনিধি, মারকানা: বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের ম্যাচে ফের অশান্তি, চরম নাটকীয়তা। ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে মাঠ ছেড়ে চলেও যান লিওনেল মেসিরা। নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পরে শুরু হয়। নিকোলাস ওতামেন্ডির একমাত্র গোলে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে জয়ী হয়েছে কাতার নীল-সাদা জার্সিধারীরা।
বুধবার সকালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে কানায়-কানায় ভর্তি ছিল মারকানা স্টেডিয়াম। গ্যালারির অশান্তি মাঠেও পড়ে। শুরু থেকেই দু’দলের খেলোয়াড়রা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। শৈল্পিক ফুটবলের পরিবর্তে গা-জোয়ারি ফুটবল খেলতে শুরু করেন। বল দখলের লড়াইতে একে অন্যকে কনুই দিয়ে গুঁতো দেওয়ার পাশাপাশি হাত চালাতে থাকেন। ফলে রেফারিকে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখাতে হয়। প্রথমার্ধে দুই দলই আগোছালো ফুটবল খেলেছে। গোলের মতো তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তার মধ্যে ৩৭ মিনিটে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ফ্রি কিক থেকে নেওয়া রাফিনিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ৪৪ মিনিটে মার্তিনেল্লির শট মার্তিনেজকে পেরিয়ে গেলেও গোললাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে ক্লিয়ার করেন দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন এক আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে দুই দল মোট ফাউল করেছে ২২টি। তার মধ্যে ব্রাজিলই করেছে ১৬টি ফাউল।
গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য ঝাঁপায় দুই দল। একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলে আর্জেন্টিনার বক্সে ঝাঁপিয়ে পড়েন ব্রাজিলের রাফিনিয়া-মার্তিনেল্লিরা। ৫৮ মিনিটে মার্তিনেল্লির শট রুখে দেন মার্তিনেজ। খেলার বিপরীতে গিয়ে ৬৩ মিনিটে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন নিকোলাস ওতামেন্ডি। লো সেলসোর কর্নার থেকে পাওয়া বলে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ওই গোলের পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নীল-সাদা জার্সিধারীরা। আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে মেসিকে তুলে নিয়ে আনহেল ডি মারিয়াকে নামান আজেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের জেলিংটন। ফলে ১০ জনের দল হয়ে যায় ব্রাজিল। বহু চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেননি রাফিনিয়ারা।