নিজস্ব প্রতিনিধি, সিডনি: রূপকথার গল্প লিখলেন ওলগা কারামোনা-পারালুয়েল্লারা। রবিবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার মহিলা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল স্পেন। সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন ওলগা কারমোনা। ফের খালি হাতে ফিরতে হল সাড়া জাগিয়ে প্রতিযোগিতা সুরু করা ইংলিশ মহিলা ফুটবলারদের।
সিডনি অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়েই ফাইনালে নেমেছিল স্পেন এবং ইংল্যান্ড। যদিও শক্তির বিচারে প্রতিপক্ষের চেয়ে সামান্য এগিয়ে ছিল স্পেন। যদিও অতীতে কখনই বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ঘন্ডি টপকাতে পারেনি ইউরোপের দলটি। এবার অবশ্য ফাইনালে ওঠার পরে নতুন ইতিহাস লিখতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ওলগা কারামোনারা। শুরুই থেকেই অবশ্য আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করে দুই দল। বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল স্পেন। ম্যাচের ১৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন হ্যাম্পের শট পোস্টে লেগে ফেরে। তিন মিনিট বাদে স্পেনের পারাল্লুয়েলার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক মার্টি ইয়ার্পস। ২২ মিনিটে ফের গোলের সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। কিন্তু দলকে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে বাঁচান ইংলিশ গোলরক্ষক। অবশেষে ২৯ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পায় স্পেন। ইংল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন কারমোনারা। গোল খাওয়ার পরে শোধের জন্য তেড়েফুড়ে নেমেছিল ইংলিশরা। কিন্তু স্পেনের দুর্ভেদ্য রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে লরেন জেমস আর ক্লোয়ি কেলিকে মাঠে নামান ইংল্যান্ড কোচ সারিনা ভাগমান। কিন্তু তার ফায়দা তুলতে পারেনি ইংলিশরা। বরং পাল্টা আক্রমণে একাধিকবার ইংল্যান্ডের গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন স্প্যানিশরা। কিন্তু তাদের সামনে বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক ইয়ার্পস। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ইংলিশ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ওয়ালশের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্পেন। তবে হার্মেসোর নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ইয়ার্পস। ইনজুরি টাইম হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে ১৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় খেলিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়তি সময়েও সমতা ফেরাতে পারেননি সারিনা ভিগমানের শিষ্যারা।