নিজস্ব প্রতিনিধ: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরই শুরু হয়ে যাবে মহারণ। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৫তম আইপিএলের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে গুজরাত টাইটানস এবং রাজস্থান রয়্যালস। রবিবাসরীয় রাতে দুই দলের লড়াইকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আসরে প্রথমবার খেলতে এসেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে টাইটানসরা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে ফাইনাল খেলতে চলা এই দলটি চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে আর মাত্র একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পাশাপাশি, আইপিএলে প্রথম আসরে শেন ওয়ার্নের নেতৃত্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই বছর সব দলকে পিছনে ফেলে ট্রফি ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। তারপর থেকে বহুবার চেষ্টা করেও আর ফাইনালের ছাড়পত্র পায়নি রাজস্থান। কিন্তু এবার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছে। রবিবার দ্বিতীয়বারের জন্য ফাইনাল খেলতে চলেছে দলটি।
মেগা ফাইনালে হোমে খেলার সুবিধা পেতে চলেছে গুজরাত টাইটানস। চলতি আইপিএলের প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন হার্দিক, রশিদ, মিলার, ঋদ্ধিমানরা। ব্যাট, বল দুই বিভাগেই টাইটানসদের পারফরম্যান্স যেন ছিল চোখে পড়ার মতো। ফাইনালে ঘরের মাঠে গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সামনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তারা। তাই রাজস্থান রয়্যালসের জন্য লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা বলাই যায়। কারণ, ঘরের মাঠে যে কোনও দলই বিপজ্জনক।
অন্যদিকে, প্লে-অফের প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং লিগ পর্ব দু’বারই গুজরাতেক কাছে হারতে হয়েছিল রাজস্থানকে। তাই মেগা ফাইনালে সেটার প্রতিশোধ তুলতে মরিয়া হয়ে রয়েছে সঞ্জু স্যামসন, জস বাটলাররা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ব্যাটিং, বোলিং সবক্ষেত্রেই পিঙ্ক আর্মির পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। আর ওই ম্যাচে জস বাটলার ফের শতরান করেন এবং একক দক্ষতায় দলকে ম্যাচ জেতান। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তাঁর সেঞ্চুরি গুজরাতকে বিপদের ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে। ইংরেজ ব্যাটসম্যানের লক্ষ্য থাকবে ফাইনালেও বড় স্কোর করার। আর বল হাতে চাহাল যদি জ্বলে ওঠেন তাহলে বিপদ অনিবার্য হার্দিকদের। এবার দেখার বিষয় হল মাঠে কারা বাজিমাত করেন।