নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: এশিয়া কাপের ফাইনাল নয়, মনে হছিল পাড়ায় যেন ছোটদের কোনও ম্যাচ হচ্ছে। মহম্মদ সিরাজের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের মুখে শিক্ষানবিশের মতো সাজঘরে ফিরে গেলেন শ্রীলঙ্কার একের পর এক ব্যাটার। মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে গেলেন দাসুন শানাকারা। শ্রীলঙ্কার পাঁচ ব্যাটার খাতাই খুলতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান করেছেন কুশল মেন্ডিজ। তাও মাত্র ১৭। মহম্মদ সিরাজ ২১ রানে ছয় উইকেট নিয়েছেন। হার্দিক পাণ্ড্য তিন রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।
রবিবার কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হতে পারেনি। বৃষ্টি থামার পরে খেলা শুরু হতেই বল হাতে ‘খেল’ দেখান ভারতের স্পিডস্টার যশপ্রীত বুমরা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন কুশল পেরেরাকে। নিজের প্রথম ওভারে মেডেন পান মহম্মদ সিরাজ। দ্বিতীয় ওভারে এসেই কার্যত আগুন ঝরান। চার উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দেন। প্রথম বলে ফেরান পাথুম নিশাঙ্কাকে (২)। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে শূন্য রানে পর পর ফিরিয়ে দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কাকে। শেষ বলে ফিরিয়ে দেন ধনঞ্জয় ডি’সিলভাকে। বুমরা ও সিরাজের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের মুখে পড়ে রীতিমতো ঠকঠকিয়ে কাঁপতে থাকেন লঙ্কার ব্যাটাররা। তবুও দ্বীপরাষ্ট্রের সমর্থকরা আশা করেছিলেন, দলের বিপদে বুক চিতিয়ে লড়াই করবেন অধিওনাক দাসুন শানাকা। বিপদ থেকে টেনে তুলবেন দলকে। কিন্তু কোথায় কী! সিরাজের প্রথম তিনটি বলে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন। চতুর্থ বলে আর শেষ রক্ষা হল না। সোজা স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন সিরাজ। চার বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেন শানাকা।
সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে সামান্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন কুশল মেন্ডিজ ও দুনিথ ওয়ালালাগে। মহম্মদ সিরাজ-যশপ্রীত বুমরাকে আক্রমণ কোনও ক্রমে সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিঁকল না প্রতিরোধ। দ্বাদশ ওভারেই কুশল মেন্ডিজকে (১৭) ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভাঙেন সিরাজ। পরের ওভারেই দুনিথকে (৮) ফেরান হার্দিক পাণ্ড্য। এর পরে কিছুটা রান তোলার চেষ্টা করেন দুশন হেমন্তা। কিন্তু ১৬তম ওভারে বল করতে এসে পর পর দু’বলে প্রমোদ মধুশন (১) ও মাথিশা পাথিরানা (০) ফিরিয়ে দিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে দেন হার্দিক। ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে গুটিয়ে যায় দাসুন শানাকাদের ইনিংস।