নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: প্রতিশোধ নেওয়া হলো না মহেন্দ্র সিং ধোনির। বরং শিষ্য হার্দিক পাণ্ড্যর কাছে হারের হ্যাটট্রিকের মতো লজ্জা পেতে হলো গুরুকে। শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চার বল বাকি থাকতেই চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়ান গুজরাত টাইটানস।
টসে জিতে এদিন প্রথমে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে ব্যাট করতে রাত টাইটানস অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। রুতুরাজ গায়কোয়াডের অবিশ্বাস্য ৯২ রানের দৌলতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই সুপার কিংস। জয়ের জন্য ১৭৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন গুজরাতের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। জুটি বেঁধে ৩৭ রান তোলার পরে রাজবর্ধন হাঙ্গেরগেকারের বলে ব্যক্তিগত ২৫ রানে (১৬ বলে) সাজঘরে ফেরেন ঋদ্ধিমান। এর পরে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান গিল। পওয়ার প্লে-তে প্রথম ৬ ওভারে গুজরাত তোলে ৬৫ রান। দশম ওভারে রাজবর্ধনের বলে চেন্নাই অধিনায়ক ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাই (১৭ বলে ২২ রান)। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি। ১১ বলে ৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্লিন বোল্ড হন।
চতুর্থ উইকেটে বিজয়শঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে চেন্নাইয়ের বোলারদের আক্রমণ সামাল দেন গিল। শেষ পর্যন্ত পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে (৩৬ বলে) আউট হন ভারতের তরুণ ব্যাটার। বিজয় শঙ্করকে (২১ বলে ২৭) ফেরান রাজবর্ধন। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের দোরগোরায় পৌঁছে গিয়েছে হার্দিকের দল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাতের দরকার ছিল আট রান। হাতে পাঁচ উইকেট থাকায় কোনও পরোয়া না করে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন রাহুল তেওতিয়া ও রশিদ খান। ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দিলেন রশিদ খান। শেষ পর্যন্ত তিন বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকলেন আফগান অলরাউন্ডার। আর রাহুল তেওতিয়া অপরাজিত থাকলেন ১৪ বলে ১৫ রানে। চেন্নাইয়ের হয়ে চার ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন রাজবর্ধন।