নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত ইডেনের পিচে মুখ থুবড়ে পড়লেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটাররা। বরুণ চক্রবর্তী-বৈভব অরোরাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে দাঁড়াতেই পারলেন না জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক-ঋষভ পন্থরা। ফলে মাত্র ১৫৩ রানেই থামল দিল্লির ইনিংস। কলকাতার পক্ষে বরুণ চক্রবর্তী ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন।
সোমবার রাতে ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। শুরু থেকেই ঘরের মাঠে আঁটোসাঁটো বোলিং করতে থাকেন মিচেল স্টার্ক-বৈভব অরোরারা। আর সেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে যান দিল্লির ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান পৃথ্বী শ(১৩)। আগের ম্যাচে ব্যাপ হাতে তাণ্ডব চালানো জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে এদিন ধ্বংসলীলা চালানোর সুযোগ দেননি মিচেল স্টার্ক। তৃতীয় ওভারেই স্বদেশীয় ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৭ বলে ১২ রান করেছেন ম্যাকগার্ক। পরের ওভারে শাই হোপকে (৬) ফিরিয়ে দেন বৈভব। ৩৬ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় দিল্লি। চতুর্থ ওভারে অভিষেক পোড়েলও দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ জুটি বেঁধে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। অভিষেকের (১৮) স্ট্যাম্প ছিটকে দেন হরষিত রানা। খানিক বাদে ফিরে যান ঋষভ পন্থ (২৭) ও ত্রিস্তান স্টাবস (৩)। দুজনকেই ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে আরও বিপদের সম্মুখীন হয় দিল্লি।
চলতি আইপিএলে ব্যাট হাতে অক্ষর পটেল অনেক ম্যাচেই দলের পরিত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও এদিনের ম্যাচে তিনি কিছু করতে পারেননি। ২০ বলে ১৫ রান করে সুনীল নারাইনের বলে সাজঘরে ফেরেন। কুমার কুশাগ্রকে (২ বলে ১) ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। এক সময়ে ১১১ রানে আট উইকেটে খুঁইয়ে ফেলে দিল্লি। নবম উইকেটে দুই বোলার কুলদীপ যাদব ও রাশিক দার জুটি বেঁধে ২৯ রান তুলে দলকে খানিকটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে রাশিককে (৮) ফেরান হরষিত রানা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান তুলতে সক্ষম হয় দিল্লি। কুলদীপ যাদব ২৬ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।