নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩৫ পেরিয়ে শনিবার ৩৬ বছরে পা রাখলেন আধুনিক ফুটবলে ঈশ্বরের বরপুত্র লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরে এই প্রথম জন্মদিন পালন করছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বন্ধুবান্ধব থেকে অনুরাগী-সবার শুভেচ্ছায় ভাসছেন ফুটবলের নয়া জাদুকর। ‘এই মুহুর্তের’ পক্ষ থেকেও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম আমরা।
আর পাঁচটা স্বাভাবিক শিশুর মতো শৈশবকাল কাটেনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের। বরং ছোটবেলায় ধরা পড়ে একাধিক অস্বাভাবিকতা। মাত্র ১১ বছর বয়সে শনাক্ত হয়েছিল গ্রোথ হরমোনজনিত জটিলতা। আর সেই চিকিৎসার জন্য স্পেনের বার্সেলোনায় পা রেখেছিলেন ছোট্ট মেসি। ভাগ্যিস পা রেখেছিলেন। না হলে হয়তো কোনও দিনই বিশ্ব ফুটবল শতাব্দীর অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের সন্ধানই পেত না। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল অমোঘ টান। তাঁর বাঁ পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হতেন সতীর্থ ফুটবলার থেকে কোচ। বার্সেলোনার জুনিয়র দল পেরিয়ে ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিনিয়র দলে ঢুকে পড়েন। তার পরে তো সবটা ইতিহাস।
টানা দু’দশক ধরে মাতিয়ে রেখেছেন বিশ্ব ফুটবল। ক্লাব ও দেশের হয়ে একের পর এক টরফি জিতেছেন। বিপক্ষের রক্ষণ নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন। যত সময় গড়িয়েছে ততই একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র। আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সি গায়ে ১৭৫টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১০৩ গোল। কোপা আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপ-সব ট্রফি জিতেছেন। ক্লাব ফুটবলেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮টি ম্যাচে ৬৭২ গোল করেছেন। আর পিএসজির হয়ে ৭৫ ম্যাচে ৩২ গোল। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১,০২৮ ম্যাচে ৮০৭ গোল করেছেন। বার্সেলোনার হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ১০ বার লা লিগা জিতেছেন। সাফল্যের নিরিখে পিছনে ফেলে দিয়েছেন স্বদেশীয় কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনাকেও।