নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী বছর তাঁকে দেখা যাবে ইন্টার মিয়ামির হয়ে মাঠ কাঁপাতে। তিনি হলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তাঁকে দলে নিতে মিয়ামির সঙ্গে লড়াইয়ে ছিল সৌদির ক্লাব আল-হিলালও। তারা মেসিকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর অফার দিয়েছিল। কিন্তু মেসি তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে মিয়ামির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
মিয়ামিতে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বেতন পাবেন ৫৩.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা আমেরিকার মাটিতে মেসিকে খেলোয়াড় হিসেবে পঞ্চম সর্বোচ্চ খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি দেবে। কেননা মেসিকে যে বেতন দেওয়া হবে তা যুক্তরাষ্ট্রে খেলা আর কোনও ফুটবলারই পাবেন না।
তবে মেসিকে এই ব্যাপারে টেক্কা দিয়েছেন বেশ কিছু বাস্কেটবল খেলোয়াড়। সেই তালিকায় রয়েছেন ডেভিড বোকার তিনি বেতন পান ৫৬.১ মিলিয়ন ডলার, কার্ল এন্তোনি ৫৬.১ মিলিয়ন ডলার, নিকোলো জোভিক ৫৪.৫ মিলিয়ন ডলার এবং স্টিফেন গুরি ৫৩.৮ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়া মেসি যুক্তরাষ্ট্ লিগ থেকে বেতন ছাড়াও বাণিজ্যিক কোম্পানি থেকে মোটা অঙ্কের লাভ্যাংশ পাবেন বলেও মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যে মেসির মিয়ামিতে যোগ দেওয়া নিয়েও অনেকে নানা মত পোষণ করেছেন। তবে মেসি ভক্তরা মনে করেন, মেসি নিজেও দীর্ঘদিন ধরে নাকি চাইছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে। তাই তিনি মিয়ামির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। এখন দেখার মিয়ামির জার্সি গায়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মরশুম কেমন কাটে। তবে তাঁকে ঘিরে যে যুক্তরাষ্ট্রের ভক্তদের মধ্যে দারুণ উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে তা মেসির অভিযেক ম্যাচের টিকিটের দাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে।