আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রীড়াজগতের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিত্বদের কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। শরীরের বয়স বাড়লেও খেলোয়াড়রা কখনওই মানসিক দিক থেকে বৃদ্ধ হন না। বহু ক্ষেত্রেই আমরা এর জলজ্যান্ত উদাহরণ পেয়েছি। কিন্তু এবার যেই বিষয়টা নিয়ে পাঠকদের জানাব সেটা সত্যিই একটা অবাক করা বিষয়। মনে প্রশ্ন আসতেই পারে এমনটাও হয়? হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে, যার সাক্ষী থাকল গোটা ফুটবল বিশ্ব।
৬০ বছর, এই বয়সে অধিকাংশ মানুষই শারীরিক দিক থেকে ভেঙে পড়েন। বার্ধক্যে প্রবেশ করা প্রায় সন্ধিক্ষণ যাকে বলা হয়। কিন্তু এই বয়সে এসেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করে সকলকে চমকে দিয়েছেন রনি ব্রান্সভিক। কনফাকাফ লিগের একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ম্যাচে খেলতে নেমে ছিলেন তিনি। আর এটা করে গোটা ফুটবল বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটা রেকর্ড গড়ে বসলেন ব্রান্সভিক। পেশাদার ফুটবল ছাড়াও তাঁর একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তিনি হলেন সুরিনামের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট।
জানা গিয়েছে, নিত্য কাজ-কর্মের থেকে সাময়িকভাবে দূরে থাকার জন্য ফের ফুটবল মাঠে নেমেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, দলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ডটাও ছিল তাঁরই হাতে। হন্ডুরাসের ক্লাব সিটি অলিম্পিয়র বিরুদ্ধে ইন্টার মোয়েনগোটাপের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে দেখা গিয়েছে রনিকে।
এই ইন্টার মোয়েনগোটাপ নামক সুরিনামের এই ক্লাবটির মালিকও তিনি। যদিও ৬০ বছর বয়সে মাঠে নেমে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি ব্রান্সভিক। হন্ডুরাসের ক্লাবটি ৬-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। তবে পেশারদার ফুটবলে সবথেকে বেশি বয়সে নামার রেকর্ড রয়েছে মিশরের এজেলদিন বাহাদেরের।