নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের ইউরোপা লিগের ফাইনাল ম্যাচটা এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের স্বাক্ষি থাকল। যে ম্যাচের প্রতিটা মিনিট ঘিরে ছিল উত্তেজনার পারদ। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। তারপর অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালেও ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় না। শেষ পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারণের জন্য বেছে নিতে হল টাইব্রেকারকে। আর সেখানেই বাজিমাত করলেন সেভিয়ার ফুটবলাররা।
টাইব্রেকারে একজন হন নায়ক আর একজন হন খলনায়ক। এটাই রীতি। গত বুধবারও ইউরোপা লিগের এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হল না। সেভিয়ার হয়ে এই ম্যাচে নায়ক হলেন জাতীয় দলে মেসির সতীর্থ গনসালো মনতিয়েল। নিজের দল সেভিয়ার হয়ে চতুর্থ শটটি নিতে এসেছিলেন তিনি। প্রথমে গোল করতে ব্যর্থ হন কাতার বিশ্বকাপে যাঁর পেনাল্টি থেকেই জয় নিশ্চিত হয়েছিল মেসিদের সেই মনতিয়েল।
হলে কি হবে গোলরক্ষক আগে মুভমেন্ট করায় রেফারি ফের দ্বিতীয়বার শট নেওয়ার অনুমতি দেন মনতিয়েলকে। আর প্রথম শটটি বাইরে মারলেও দ্বিতীয় শটে গোল করতে গোল করতে ভুল করেননি এই ডিফেন্ডার। ফলে ৪-১ গোলে রোমাকে হারিয়ে চলতি মরশুমে ইউরোপা লিগ জয় করতে সক্ষম হল সেভিয়া।
আরও জানতে পড়ুন: অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে বিদায় নিল আর্জেন্টিনা
ম্যাচের শুরু হতেই সেভিয়ার ওপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকেন রোমার ফুটবলাররা। এবং আক্রমণে গেলেও সেভিয়া যাতে প্রতি আক্রমণে গোল করতে না পারে তার জন্য নিজের ডিফেন্স লাইনকে সর্বদা সচেষ্ট রেখেছিলেন অভিজ্ঞ মরিনিও। মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্ত সুযোগ পান রোমার ফুটবলাররা। কিন্তু তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর ১১ মিনিটে একটি দারুণ সুযোগ পান স্পিনাৎসোলা। যে সুযোগ থেকে গোল করতে পারলে হয়তো মারিনিওকে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হত না গত বুধবার। কিন্তু কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আর কি।
অবশেষ ৩২ মিনিটে রোমার সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান পাওলা দিবালা। মানচিনির পাস থেকে গোল করেন তিনি। দিবালার এই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রোমার ডিফেন্স। ৫৫ মিনিটে এক মারাত্মক ভুল করে নিজের গোলেই বল প্রবেশ করান মানচিনি। এরপর তো বাকিটা ইতিহাস গড়ে রোমাকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জয় করলে সেভিয়া।