নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামীতে ফিফার ব্যালন ডি’অর খেতাব জিতবেন কে? মেসি, এমবাপ্পে নাকি আর্লি হ্যালান্ড? তবে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী ব্যালনডি আর খেতাব জয়ের জন্য যে দুজনের মধ্যে জোর লড়াই হতে পারে তাঁরা হলেন লিওনেল মেসি এবং আর্লি হ্যালান্ড।
নরওয়েল এই স্ট্রাইকারটি সদ্য ম্যান সিটির হয়ে জয় করেছেন চ্যাম্পিয়ান্স লিগের খেতাব। তার আগে অবশ্য সিটির হয়েই এফএ কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের খেতাব জয়ের নজির রয়েছে তাঁরই দখলে। চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ান্স লিগের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচে গোল না করতে পারলেও, হ্যালান্ড গোটা টুর্নামেন্টে ১১টি ম্যাচে গোল করেছেন ১২টি। প্রিমিয়ার লিগে ৩৫টি ম্যাচে ৩৬টি গোল রয়েছে নরওয়ের এই ফুটবলারটির। যা ব্রিটিশ ফুটবল লিগের এক মরশুমে রেকর্ড। সবশেষে ট্রেবল জয়ের রেকর্ড রয়েছে তাঁর পকেটে। গোটা মরশুমে তাঁর মোট গোল ৫৩টি। গোল সংখ্যার নিরিখে ম্যান সিটির এই স্ট্রাইকারের আগে রয়েছেন ফ্রান্সের ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু এমবাপ্পের অসুবিধা হচ্ছে তিনি কিন্তু ট্রেবল জয় করতে পারেননি।
তবে সেই ক্ষেত্রে ব্যালন ডি’অর জিততে হ্যালান্ডের সঙ্গে লড়াই হবে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। কেননা মেসি ট্রেবল জয় করতে না পারলেও, বিশ্বকাপ জয় করেছেন। পাশাপাশি চলতি মরশুমে তাঁর গোল রয়েছে ৩৮টি। গোলের জন্য বল দিয়েছেন ২৫টি। বিশ্বকাপের আসরেই এলএম টেনের পকেটে রয়েছে ৭টি গোল। গোলের জন্য পাশ দিয়েছেন ৫টি। সবেশেষে যেটি মেসির পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল কাতার বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।সুতরাং সেই দৌড়ে মেসি অবশ্যই হ্যালান্ডের থেকে এগিয়ে রয়েছেন বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও জানতে পড়ুন: চ্যাম্পিয়ান্স লিগে মাঠে না নেমেই নতুন রেকর্ড আলভারেজের
এবং পিএসজির হয়ে দুটি লিগ জেতার খেতাবও রয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের পকেটে। তবে মেসি হ্যালান্ডের থেকে একটু পিছিয়ে থাকবেন সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ান্স লিগের নিরিখে।
প্রসঙ্গত, তালিকায় এই দুজন ছাড়াও রয়েছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়ার এবং কেভিন ডি ব্রুইনরাও। ভিনিশিয়াস গোল করেছেন ২৪টি, করিয়েছেন ২৫টি। খেতাব জিতেছেন কোপা দেল রো, এবং ক্লাব বিশ্বকাপ এবং উয়েফা কাপ। তবে নিজের গোলের নিরিখে ব্রুইন করেছন মাত্র ১০টি। কিন্তু গোল করানোর ক্ষেত্রে ৩২টি পাস বাড়িয়ে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন।
এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কার হাতে শোভা পায় মেসি, হ্যালান্ড নাকি অন্য কারোর তা অবশ্য সময়ই বলবে।