নিজস্ব প্রতিনিধি, পুণে: দুর্দান্ত শুরু করেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ভারতের বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস গড়তে পারল না বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান তুলেছে টাইগাররা। দুই ওপেনার তানজিদ হাসা ও লিটন দাস-দুজনেই অর্ধতরান পেয়েছেন। সামান্যর জন্য অর্ধ শতরান হাতছাড়া হয়েছে মাহমদুল্লাহের। ভারতের পক্ষে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা ২ টি করে উইকেট নিয়েছে। বাকি দুটি উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব ও শার্দূল ঠাকুর।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের গোড়াপত্তন করতে এসে দুর্দান্ত সূচনা করেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। ভারতের পেসারদের আক্রমণ সামাল দিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ ওপেনার তানজিদ এদিন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ১৫তম ওভারে বল করতে এসে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। ফিরিয়ে দেন তানজিদ হাসানকে (৫১)। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত মাত্র ৮ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে ফিরে যান। চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হলেও সুবিধা করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ (১)। তাঁকে সাজঘরের পথ ধরান মুম্মদ সিরাজ। ভাল খেলতে থাকা লিটন দাসকে (৬৬) আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম সেই চাপ কাটিয়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রাখছিলেন হৃদয়। অন্যপ্রান্তে চালিয়ে খেলছিলেন মুশফিকুর। দুজনে জুটি বেঁধে ৫২ রান যোগ করার পরে শার্দূল ঠাকুরের বলে ফিরে যান হৃদয়। এর পরে জুটি বাঁধেন বাংলাদেশের দুই পোড়খাওয়া ব্যাটার মুশফিকুর ও মাহমদুল্লাহ। দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। ৪৩তম ওভারে মুশফিকুরকে (৩৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন যশপ্রীত বুমরা। নাসুম আমেদকে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় বোলাদের বিষাক্ত বোলিংয়ের মোকাবিলা করতে থাকেন মাহমদুল্লাহ। ৪৭ তম ওভারে বল করতে এসে নাসুমকে (১৪) ফেরান সিরাজ। তার পরে একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমদুল্লাহ। শেষ ওভারে অর্ধ শতরানের গোড়া থেকে ফেরেন তিনি (৪৬)। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২৫৬-তে নিয়ে যান শরিফুল ইসলাম।