নিজস্ব প্রতিনিধি: জ্বালা ধরানো, দম বন্ধ করে দেওয়া তাপপ্রবাহের অবসান ঘটিয়ে সোম সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর ছোঁয়া পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। অঝোর ধারার বৃষ্টিতে নেমেছে পারাও। কিন্তু সময় যতই গড়াচ্ছে সেই স্বস্তির মধ্যে মাথা তুলছে মানুষের জীবনহানির খবরও। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে রাজ্যের(Bengal) ১২জনের মৃত্যুর ঘটনা(12 Lives Claims) ঘটেছে গতকালের দুর্যোগে(Natural Disaster)। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৯জন মারা গিয়েছে বজ্রাঘাতে। এই ঘটনায় এদিন ট্যুইট(Tweet) করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে এখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় তিনি ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এই আবহে এই ১২জনের পরিবার আদোউ কোনও ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গত রাতে বজ্রপাতের কারণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ায় প্রাচীর ধসে আরও ২ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গাছ চাপা পড়ে আরও ১ জন মারা গিয়েছেন। আমাদের জেলা প্রশাসন সর্বত্র দুর্যোগ মোকাবিলায় চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে চলেছে এবং নির্দেশিকা অনুসারে ত্রাণ ও সাহায্য প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলার ১২ জন নাগরিকের শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে এই তথ্যও তুলে ধরেছেন যে, গতকাল বজ্রাঘাতে যে ৯জন মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৫জন পূর্ব বর্ধমান জেলার। ২জন করে রয়েছে পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী এর আগে একাধিক জনসভায় কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এই দীর্ঘমেয়াদী ও এই তীব্র গরমের মধ্যে ৩ মাস ধরে ভোট করানো নিয়ে। সম্ভবত তিনি এদিন তাঁর দুটি জনসভা থেকে কমিশনকে এই নিয়ে আবারও নিশানা বানাতে পারেন।