নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেল থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বিধাননগরে এমপি এমএলএ আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁকে নিয়ে আসা হয়। ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানা এলাকায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় অনুব্রতের নাম জড়ায়। বৃহস্পতিবার কেষ্টকে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন যখন আসানসোল থেকে কেষ্টকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরে, সেই সময় তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তোলা হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। উল্লেখ্য অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেন দুজনেই আসানসোলের জেলে বন্দি বর্তমানে। বৃহস্পতিবার সায়গল হোসেনকে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হলে তাঁকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। আসানসোল সিবিআই আদালতের এক আইনজীবীর মৃত্যুতে এদিন শোক দিবস পালন করছেন আইনজীবীরা। সেই কারণে শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন সায়গলের আইনজীবী। এদিন সিবিআইয়ের তরফে বিচারককে গরু পাচার মামলার বেশ কিছু নথি দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর।
গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর আধিকারিকরা অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পান। তাঁকে গ্রেফিওতার করেন গোয়েন্দারা। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী। তদন্তকারীদের দাবি, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা পেয়েছেন যে তথ্য অনুযায়ী সায়গল হোসেন গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট। আসানসোলের জেলে দিন কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। ওইদিন সায়গল হোসেনকেও জেলের মধ্যে জিজ্ঞসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। কিন্তু তদন্তকারীদের অভিযোগ, অনুব্রত এব সায়গল জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেননি।