নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেন মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাবালক-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত মূল অভিযুক্তের নাম আশাবুল ওরফে বাচ্চা। নৈহাটির শিবদাসপুরের কন্দপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সে। রবিবার রাতে বারাসত জেলা পুলিশের এসডিপিও (হাবরা) রোহিত শেখ ও আমডাঙা থানার আইসি অঞ্জনকুমার দত্তের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আমডাঙার প্রভাকরকাটির বাঁশবাগান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে জমিতে চাষ করা নিয়ে অভিযুক্ত নাবালক আশাবুল ওরফে বাচ্চার বাবা শোফিয়ারের সঙ্গে জাকিরের এক আত্মীয়র ঝামেলা হয়। সেই সময় মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরপর শনিবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটির (Naihati) শিবদাসপুরে (Shibdaspur) এলাকার আলো বন্ধ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে একটি চায়ের দোকানে গুলি চালায়। গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমাও ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। সেই হামলায় গুলিবিদ্ধ হন নৈহাটির শিবদাসপুর থানা এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী জাকির হোসেন মণ্ডল। এলাকায় প্রতিবাদী মুখ হিসাবে পরিচিত ছিলেন জাকির। শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ জাকির হোসেনকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জাকির হোসেনের বুকে, পেটে ও হাতে গুলি লাগে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ধৃত নাবালক এলাকায় মাদক বিক্রি করত। সেই মাদক কারবারের বিরোধিতা করেছিলেন প্রতিবাদী জাকির হসেন। এমনকী আগেও ওই নাবালককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি হোম থেকে ছাড়া পায় সে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাকির হোসেন মণ্ডল খুনের ঘটনায় জড়িত বাকি দুষ্কৃতীদের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।