এই মুহূর্তে




৫০ কোটির জল প্রকল্প তেষ্টা মেটাবে খয়রাশোল ব্লকের বাসিন্দাদের

Courtesy - Facebook and Google.




নিজস্ব প্রতিনিধি: লাল মাটির জেলা বীরভূম(Birbhum)। যার পশ্চিম সীমান্ত বরাবর রয়েছে ঝাড়খণ্ড। আবার জেলার পশ্চিম ঘেঁষে ব্লকগুলির মাটি জেলার অনান্য ব্লকগুলির তুলনায় অনেকটাই রুক্ষ, পাথুরে। সেই সব ব্লকের মধ্যে অন্যতম হল সিউড়ি সদর মহকুমার মধ্যে থাকা খয়রাশোল ব্লক(Khoyrashole Block)। এই ব্লকেই এখন জলস্তর নেমে গিয়েছে ৮০০-১২০০ ফুট নীচে। শুধু খয়রাশোলই নয়, বীরভূমের পশ্চিম দিকের ব্লকগুলির ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর দিন দিন নীচে নামছে। ২ বছর আগেও যেখানে ৪০০ ফুটেই জল পাওয়া যেত এখন সেখানে ৭০০ফুট নীচেও জল মিলছে না। ডিপ টিউবওয়েল করলেও জলস্তর মিলছে না। জল মিললেও এক বছরের মাথায় জল পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তখন টিউবওয়েলগুলি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় খয়রাশোল ব্লকের মানুষদের তেষ্টা মেটাতে বা তাঁদের পানীয় জলের অভাব মেটাতে রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার ৫০ কোটি টাকা খরচ করে অজয় নদের তীরে Sub Surface Water Project গড়ে তুলছে।

আরও পড়ুন, মেট্রো শুধু বাড়ি ভাড়া দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে, ৫ বছর পরেও বাড়িছাড়া বউবাজারের দুর্গতরা

জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) কারিগরী সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি গড়ে উঠছে। কেন যাদবপুরের সাহায্য? দেখা যাচ্ছে বীরভূম জেলার ঝাড়খণ্ড ঘেঁষে থাকা ব্লকগুলিতে জল মাটির নীচে পৌঁছচ্ছেই না। বিশেষ করে পাথুরে এলাকাগুলিতে জল মাটি চুঁইয়ে নীচে নামছে না। অথচ অনবরত জল তোলা হচ্ছে। ফলে একটা বড় এলাকাজুড়েই সেখানে জলশূন্যতা তৈরি হয়েছে। এরপরেই রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের তরফে যোগাযোগ করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। তার জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের Water Research বিভাগের একটি টিম খয়রাশোলে এসে পরিদর্শনও করেন। তখনই দেখা যায়, সারা বছর অজয় কানায় কানায় পূর্ণ না থাকলেও অল্প হলেও জল থাকে। নদীর চরে হাত দিয়ে বালি কেটে গর্ত করতে দেখা গিয়েছে, সেই গর্তে জল জমে যাচ্ছে। আশপাশ থেকে জল এসে সেই গর্তে পড়ছে। ঠিক সেই ভাবনা থেকেই খয়রাশোলে Sub Surface Water Project গড়ে তোলা হচ্ছে। এখনও অবধি এই প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

আরও পড়ুন, সায়নের মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম দ্বারে রাজ্য

তা কী কাজ হয়েছে? খয়রাশোল ব্লকের টামরা এলাকায় অজয়ের পাড়ে মাটির নীচে ১৫মিটার গভীরতায় একটি Sub Surface Water Tank তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে নির্দিষ্ট দূরে দূরে সমতলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে 6টি ফিল্টার মেশিন বসানো থাকছে। সেই ফিল্টার মেশিন দিয়ে জল চুঁইয়ে এসে ট্যাঙ্কটিতে জমা হবে। এরপর সেই জমা জল Treatment Plant-এ নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর পাইপ লাইনের মাধ্যমে গোটা ব্লকে তা বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই Sub Surface Water Project গড়ে উঠলে খয়রাশোলের জলকষ্ট দূর হয়ে যাবে। হচ্ছে। জলজীবন মিশন কর্মসূচিতে ওই ব্লকের ১৬হাজার ৪৬টি বাড়িতে ওই জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে রাজনগর ব্লকেরও একাংশে এই প্রকল্প থেকে জলের জোগান দেওয়া যাবে। আগামী বছর মার্চ মাস থেকে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে বলেই জেলার প্রশাসকেরা মনে করছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফাটল ধরা শুরু আন্দোলনে, সরছেন মানুষ, ক্ষোভ বাড়ছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে

মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি

নির্জন রাস্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে অপহরণ ও গণধর্ষনের অভিযোগ

মহানন্দা নদীতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল নবম শ্রেণীর ছাত্রের

দাসপুরের পুরুষোত্তমপুরের ভট্টাচার্য পরিবারে পূজিতা হন অষ্টাদশভুজা দুর্গা

মেজিয়ার শিকল বাঁধা দুর্গা পুজো পান আড়াইশো বছর ধরে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর