নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: নিম্নচাপের জেরে দীর্ঘ সমস্যার পর ফের নতুন দুর্যোগ বাঁকুড়ার। প্রায় ৮০টি হাতি ঘিরে ফেলেছে বাঁকুড়া জেলাকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে ওই দলটি। তবে দাঁতালের দলে ক্রমশ বাঁকুড়ার দিকে এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রামবাসী। মাঠের ধান রক্ষার স্বার্থে বন বিভাগের সমস্ত কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ফি বছর ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বাঁকড়ার একই সমস্যা। হাতি সমস্যা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা সংগ্রামী গনমঞ্চ। সংগঠনের সম্পাদক শুভ্রাংশু মুখোপাধ্যায় জানান, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ডের দলমা পাহাড় থেকে নেমে আসছে হাতির দল। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, রূপনারায়ণ হয়ে বাঁকুড়ার পাঞ্চেত ডিভিশন তাঁদের লক্ষ্য। এবার ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে হাতিরা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। কারণ, অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে সেখানকার জমি কর্দমাক্ত। ফলে সেখানে পা রাখতে না পেরে হাতির দল ক্রমশ উত্তর বাঁকুড়া হয়ে ধেয়ে আসছে। পুজোর মুখে হাতির দলের এই উৎপাত আতঙ্ক বাড়িয়েছে বাঁকুড়াবাসীর।
বর্তমানে মাঠ জুড়ে আমন ধান। দিনকয়েকের মধ্যেই ফসল তোলা হবে। কিন্তু তার আগে হাতির পাল ফসল নষ্ট করে দিলে পথে বসতে হবে কৃষকদের। বড়জোড়া রেঞ্জের ডাকাইসিনি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন কুণ্ডুর কথায়, ‘জঙ্গল থেকে হাতির হুঙ্কার আসছে, প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছি। রাতে ঘুম আসছে না।’ এই পরিস্থিতিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের হাতিপ্রবণ এলাকার কর্মী, অফিসারদের। ছুটি নিচ্ছেন না শীর্ষ কর্তারাও। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই বলেন, ‘হাতি পালের গতিবিধির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রয়েছে। মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে ৯০১৫১৮১৮৮১ নম্বরে এসএমএস বা মিসড কল দিয়ে বন বিভাগে জানাতে পারবে গ্রামবাসী।