নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতে শুয়েছিলেন একসঙ্গে। মাঝরাতে কখন স্ত্রী পাশ থেকে উঠে চলে যান তা টের পাননি স্বামী। ভোররাতে ঘুম ভাঙতে দেখেন স্ত্রী নেই পাশে। তাই বাড়ি বাইরে বেড়িয়ে খোঁজখবর শুরু করলেন। বেশ কিছুটা খোঁজাখুঁজির পরে জানতে পারলেন, বাড়ির অদূরে রেললাইনে স্ত্রীর মুণ্ডু কাটা মৃতদেহ পড়ে আছে। মঙ্গলবার সাতসকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ডায়মন্ডহারবার(Daimond Harbour) মহকুমার মগরাহাট(Mograhat) এলাকায়। এদিন সকালে মগরাহাট স্টেশনের অদূরে মেলে রেখা মণ্ডল(৩০) নামে ওই মহিলার মুণ্ডু কাটা মৃতদেহ। তাঁর বাড়ি মগরাহাটের পূর্ব বেলাড়িয়া বস্তি এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সোমবার গভীর রাতে কেউ তাঁকে এভাবে হত্যা করে দেহ রেললাইনের ফেলে গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আর কেনই বা ঘটিয়েছে তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ।
রেখা মণ্ডলের স্বামীর নাম প্রবীর মণ্ডল। এদিন তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী কখন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছেন আর কারাই বা এই ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তাঁর ধারনা, রেখা মণ্ডলকে কেউ চক্রান্ত করে খুন করে তাঁর দেহ রেল লাইনে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা আত্মহত্যারও হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে জোর দিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ট্রেনের গার্ডের রিকুজিশন খতিয়ে দেখছে। তবে প্রবীরবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকাবাসীরও দাবি, ওই মহিলাকে কেউ খুন করে তাঁর দেহ রেললাইনে ফেলে গিয়েছে। তবে মৃত্যুর আগে তাঁর ওপর শারীরিক কোনও নিপীড়ন হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য সপ্তাহ দেড়েক আগে এই জেলারই কাকদ্বীপে এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর দেহ মিলেছিল রেললাইনের ধারে। সেই ঘটনায় এখনও পরিষ্কার হয়নি কে বা কারা ওই তরুণীকে খুন করেছিল নাকি ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে এদিনের ঘটনার কোনও মিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।