নিজস্ব প্রতিনিধি: ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে ওই অস্ত্র দিয়েই নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে আত্ম্যহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। স্বশুরবাড়িতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ইটাহারের বাসিন্দা ওই যুবক। আর দিন দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইটাহার থানার মানাইনগরে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যাচ্ছে, কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মানাইনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রেমচাঁদ চৌধুরীর মেজো মেয়ে গীতা চৌধুরীর সঙ্গে মাত্র ৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল মালদা জেলার সামসী থানা এলাকার সঞ্জয় চৌধুরীর। গত কয়েকদিন আগেই সঞ্জয় ও গীতা মানাই নগরে গীতার বাপের বাড়িতে আসেন। প্রায় দিন দশেক ধরে গীতার শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও গীতা শেষ অবধি শ্বশুরবাড়ি যেতে গররাজী ছিলেন বলে দাবি সঞ্জয়ের। শুক্রবার ফের গীতা শ্বশুরবাড়ি ফিরতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা। এরপরেই গীতার বাপের বাড়ির লোকের মাঠে কাজ করতে গেলে ফাকা বাড়িতে গীতাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে সঞ্জয়।
স্ত্রী গীতাকে বেশ কয়েকবার ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নিজের শরীরেও ক্রমাগত আঘাত করে সঞ্জয়। গীতার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তারক্তি কাণ্ড। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে গুরুতর আহত সঞ্জয়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঞ্জয় সকলের সামনেই নিজের স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি গীতার পরিবারের। তবে ঠিক কী কারণে গীতা শ্বশুরবাড়িতে যেতে নারাজ ছিলেন সেটা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।