নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে পুলিশ ছুঁলে আঠারো ঘা। কিন্তু সেকথা তো চোর(Thief) বাবাজি মানেন না। তাই তিনি পুলিশকেই ধোঁকা দিয়েছেন। দিনদুপুরে সবার চোখের সামনে দিয়ে পুলিশেরই মোবাইল হাতিয়ে(Theft) তিনি হয়েছেন ধাঁ। আর তার পিছনে ছুটে মরছেন উর্দিধারীরা। কিন্তু কোথায় তিনি, খুঁজে খুঁজে হয়রান উর্দিধারীরা। এখন একমাত্র আশা, চোর কোথাও না কোথাও মোবাইল(Mobile) অন করবেই করবে। আর তখনই টাওয়ার লোকেশনে ট্রাক করলেই বোঝা যাবে তিনি আছেন কোথায় লুকিয়ে। আর যদি মোবাইল অন না হয়, যদি তার আগেই তার হাতবদল ঘটে যায়, তখন কী আদৌ চোর ধরা পড়বে। মুখে কুলুপ উর্দিধারীরা। নাহ গপ্পো নয়, খাঁটি সত্যি। এ ঘটনা ঘটেছে এই বাংলার বুকেই। রাজ্যের একপ্রান্তে থাকা পুরুলিয়া(Purulia) জেলার সদর শহর পুরুলিয়া টাউনেই ঘটেছে এই ঘটনা।
পুরুলিয়া টাউন থানার এক পুলিশকর্মী, নাহ না খোদ দারোগাবাবু। তাঁর ফোনটাই গিয়েছে চুরি। এমনকি সেই খোওয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে দিতে থানায় লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন দারোগাবাবু। কিন্তু কোথায় ফোন! জানা গিয়েছে, দারাগোবাবুর নাম অনন্ত কুমার দে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ঘোঙ্গা নাকা চেকিং পয়েন্টের কাছে গাড়ি চেকিং করে জরিমানার কাজে ব্যস্ত থাকার সময় তার মোবাইল ফোনটি পুলিশ জিপের বনেটের ওপর রাখা ছিল। তিনি অসচেতন হতেই তাঁর মোবাইলটি নিয়ে চম্পট দেয় কেউ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনার কথা জেলা পুলিশ(Police) কন্ট্রোল রুমে জানালেও সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন যে ওই মোবাইলের লোকেশন চিপিদা গ্রামে। সেই খবরের জেরে দারাগোবাবু ওই গ্রামেও হানা দেন। কিন্তু সেখানে চোরের হদিশ মেলেনি। কেননা চোর বাবাজিও ধুরন্ধর। তাও আবার জেনেশুনে পুলিশের মোবাইল চুরি করা। তাই মোবাইলটি রেখে দিয়েছে সে অফ করে। তাই দারাগোবাবুকেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
এখন ঘটনা হচ্ছে, দারোগাবাবুর অভিযোগপত্রটিতে একটি বিতর্কিত বিষয় রয়েছে। কেননা সেখানে দারোগাবাবু উল্লেখ করেছেন যে, তিনি নাকা চেকিং পয়েন্টে যাঁদের জরিমানা আদায় করেছিলেন তাদের মধ্যেই কেউ তাঁর মোবাইলটি চুরি করেছে বলে তাঁর অনুমান। যদিও খোদ দারোগাবাবুর মোবাইল দিনের আলোয় চোর নিয়ে পালালো, এটিই এখন হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে পুলিশ বাহিনীর অন্দরেই। হাসছেন আমজনতাও। তবে উর্দিবাবুদের দাবি, মোবাইলটি নিয়ে পালালেও চোরের পক্ষে বেশিদূর যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ফোনটি অন করলেই টাওয়ার লোকেশনে ট্রাকের মাধ্যমে শীঘ্রই উদ্ধার করে ফেলা হবে। দেখা যাক চোর জেতে না পুলিশ।