এই মুহূর্তে

১২ লক্ষ টাকা দিয়েছি, তাতেও চাকরি হয়নি, নালিশ অভিষেককে

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি টানা ১২বছর ধরে দলের বুথ কমিটির সভাপতি। ছেলের বউ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে স্টার মার্কস পাওয়া মেয়ে। প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরির জন্য আবশ্যক ডিএলএড প্রশিক্ষণও আছে। তাই চোখ বুজে ছেলের বউয়ের যাতে চাকরি হয়ে যায় তার জন্য ১২লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে। আশ্বাস পেয়েছিলেন MLA কোটায় ছেলের বউকে চাকরি দেওয়া হবে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হিসাবে। কিন্তু বউমার চাকরি হয়নি, পাশাপাশি তিনি মানে শ্বশুরমশাইও টাকা ফেরত পাননি। এবার সুবিচারের আশায় তিনি চিঠি পাঠালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। সেই সঙ্গে চিঠি দিলেন ED-কেও। আর তাতে প্রতারণার নায়ক হিসাবে নাম জুড়ে দিলেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় বিধায়কের নাম। যিনি এতকিছু করলেন মানে সেই শ্বশুরমশাইয়ের নাম নন্দদুলাল বাগ(Nandadulal Bag)। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার নন্দকুমার(Nandakumar) ব্লকের কেন্দ্রের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত(Kalyanpur GP) এলাকার মাধবপুর(Madhabpur) গ্রামে।

আরও পড়ুন রাস্তাশ্রী প্রকল্পে ৩ জেলা পেল ২০০ কোটির বরাদ্দ

ঠিক কী হয়েছে? জানা গিয়েছে, নন্দদুলালবাবু একটানা ১২বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের মাধবপুর বুথের সভাপতি ছিলেন একসময়। ২০১৫ সালে তাঁকে দলের ব্লক কমিটির সদস্য করা হয়। নন্দদুলালবাবুর বউমা অনিতা বাগ(Anita Bag) প্রাইমারি শিক্ষকতার চাকরির জন্য ২০১২সালে প্রথমবার প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় বসলেও অকৃতকার্য হন। তারপর ২০১৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসেন। সেই পরীক্ষাতেও যাতে অনিতা আর অকৃতকার্য না হন তার জন্য মাঠে নামেন নন্দদুলালবাবু। এখন নন্দলালবাবুর অভিযোগ, সেই সময় তিনি প্রথমে যোগাযোগ করেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার-দে’র(TMC MLA Sukumar Dey) সঙ্গে। কয়েকদিন বাদে কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাজদুলাল মাইতি(GP Pradhan Rajdulal Maity) তাঁকে নাকি ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়ে তিনি প্রধানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে নন্দদুলালবাবু MLA কোটায় অনিতার যাতে প্রাথমিক শিক্ষিকার পদে চাকরি হয়ে যায় সেই আর্জি জানান। সেই সময় নাকি ওই আর্জি শুনে রাজদুলাল মাইতি জানিয়েছিলেন তার জন্য ১২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রথমে টাকার অঙ্ক শুনে নাকি পিছিয়ে গিয়েছিলেন নন্দদুলালবাবু। তারপর পেশায় ব্যবসায়ী ভাইপোর কাছ থেকে ১০লক্ষ টাকা এবং অনিতার বাবার কাছ থেকে আরও ২ লক্ষ টাকা ধার করে তিনি রাজদুলালের হাতে তুলে দেন।  

আরও পড়ুন প্রতি সপ্তাহে সেরা কর্মীর পুরষ্কার, নয়া পদক্ষেপ নবান্নের

নন্দদুলালবাবুর বক্তব্য, ‘আমি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে ১২ লক্ষ টাকা তুলে দিই। ওই প্রধান বিধায়কের সহযোগী। আমি তাঁর হাতে সবরকম কাগজপত্রও দিয়েছিলাম। কিন্তু বউমার চাকরি হয়নি। ২০১৬সাল থেকে আর টাকা ফেরত পাইনি। বিষয়টি দলের ব্লক সভাপতি, মহিলা শাখার জেলা সভাপতি সহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি। তাই শেষমেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerkee) অফিসে জানিয়েছি। পাশাপাশি ইডিকেও চিঠি দিয়েছি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এবং ইডি(ED) যেভাবে তদন্ত করছে তাতে আমার আস্থা বেড়েছে।’ যদিও এই ঘটনা নিয়ে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে জানিয়েছেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনায় আমি বিন্দুমাত্র জড়িত নই। উনি কেন এভাবে অভিযোগ করছেন, তাও জানি না।’ পঞ্চায়েত প্রধান রাজদুলাল মাইতি আবার জানিয়েছেন, ‘আমি এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। এনিয়ে বিধায়ক যা বলার বলবেন।’ কার্যত দুইজনই এই ঘটনার দায় নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলছেন। আর তা দেখে আরও মুষড়ে পড়েছেন নন্দদুলালবাবু। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি অভিমান করে আর পার্টির কর্মসূচিতে যাচ্ছেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটের ডিউটি থেকে ছাড়, খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের

‘টলিউডে ওঁর থেকে আমি অনেক এগিয়ে’, হিরণের কেরিয়ার নিয়ে খোঁচা দেবের

প্রথম দুই দফার ভোটে সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর