এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘পরিসংখ্যানের লড়াই হোক, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের দরুণ তাঁর হেলিকপ্টার কলকাতা থেকে বীরভূমের রামপুরহাটে নিয়ে যাতে না পারলেও সেখানকার সভায় আগত মানুষের কাছে ভার্চুয়াল ভাবেই পৌঁছে গেলেন বাংলার শাসক দলের সেনাপতি। মানে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। আর সেই সভায় আগত মানুষের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়াল ভাবে বক্তব্য রাখতে গিয়েই তিনি এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) উদ্দেশ্য করে। সেই চ্যালেঞ্জ মারদাঙ্গার নয়, সেই চ্যালেঞ্জ, কে কতখানি মানুষের জন্য কাজ করেছেন তা সামনে এনে লড়াই করার। অভিষেক যা তুলে ধরেছেন ‘পরিসংখ্যানের লড়াই’(Statistical Fight) হিসাবে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ইডি, সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই। ৩ মাস ধরে রাস্তায় রয়েছি। যিনি টাকা দেননি ১০০ দিনের কাজের, আবাসের, তাঁর গ্যারান্টি বীরভূমের মানুষ বিশ্বাস করবেন না। এরা কথায় কথায় মামলা করে। আমার বিরুদ্ধেও করুক। রামপুরহাটেই এক মঞ্চে আসুক। গত ১০ বছরে তোমার সরকার কী করেছে আর আমরা কী করেছি, পরিসংখ্যান দেব। পরিসংখ্যানের লড়াই হোক। শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।’

এদিন অভিষেক তাঁর বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে নিশানা বানিয়েছেন মোদিকে। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী সভা করে বলছেন, যারা মাছ খায়, তাঁরা দেশবিরোধী। আপনারা হাত তুলুন যারা মাছ খান। দেখতে চাই, কত জন দেশবিরোধী? আপনাদের এ রকম আখ্যা দিচ্ছে। আপনারা কি এক মত? যারা বঙ্গবাসীর অপমান করেন, তাঁদের কি ভোট দেবেন? তাঁদের কি উচিত শিক্ষা দেবেন? যারা টাকা আটকে রেখেছে যাঁরা, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবেন কি না! এরা আমাদের ভোটাধিকারটাও কেড়ে নিতে চায়। ভোট হলে আবার বাড়বে রান্নার গ্যাসের দাম। গরিব মানুষ খাবেন কি? জলের টাকা, রাস্তার টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। রবীন্দ্রনাথের কর্মভূমি বীরভূম জেলায়, শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর ফলক থেকে তাঁর নাম মুছেছে জনবিরোধী মোদি সরকার। বদলে নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কেননা এরা বাংলা বিরোধী। এরা রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দকেও অপমান করতে ছাড়ে না। বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ২০১৯ সালে অমিত শাহের নেতৃত্বে এরাই কলকাতার রাজপথে ভাঙচুর চালিয়েছে। বাংলার মণীষীদের প্রতিনিয়ত অপমান করছে। বাংলার গরিব মানুষের অধিকারের টাকা আটকে রেখেছে। সে কারণ বিজেপি(BJP) বাংলাবিরোধী। তাই এদের বাংলা থেকে উৎখাত করতে হবে।’

এর পাশাপাশি অভিষেক জানিয়েছেন, ‘গত ৪ বছরে আবাস যোজনায় ১০ পয়সাও দেয়নি বিজেপি। বাংলায় হারের পর এক টাকাও দেয়নি। দরকারে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্র সরকার। কিন্তু মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুক। ভাল লোকেরা বিজেপি করে না। পাড়ার চোর, চিটিংবাজেরা বিজেপি করে। বীরভূমে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৬০জন শ্রমিককে ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা দিয়েছে আমাদের সরকার। ৯ লক্ষ ১ হাজার ৯৩৭জন মা, বোনকে প্রতি মাসে সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছে আমাদের সরকার। ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৩২১জনকে প্রায় ৫৪৫ কোটি খরচ করে কন্যাশ্রীতে সহযোগিতা করেছে আমাদের সরকার। ৩৬ লক্ষ ৭৮জনকে রেশন দিচ্ছে বিনামূল্যে আমাদের সরকার। ১০ বছর মোদি সরকার ক্ষমতায়। গত ১০ বছরে বলুন, এখানে কারও জন্য কিছু করেছেন। একটা বাতিস্তম্ভ বা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। এমনকি গরিব মানুষের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। মানুষের উপার্জিত টাকা বন্ধ করে রাখছে। আমি কী খাব, পরব, প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন? তাই বলছি বিরোধীর দম্ভ চূর্ণ করে মা, মাটি, মানুষের প্রার্থী, সংসদে গিয়ে যিনি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়েছেন, তাঁকে ভোট দিন। বিরোধীদের বাংলাছাড়া করুন। আপনি এখানে বোতাম টিপবেন, ভূমিকম্প হবে দিল্লিতে। আগে জয় বাংলা বললে বলত বাংলাদেশী। এখন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিও বলছেন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গয়েশপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ, আহত একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী

‘তাঁর চরিত্র মোটেই সাধুসন্ত সুলভ নয়’, মমতার সুরে কার্তিক সুর অধীরেরও

হাওড়ার ডোমজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ, ষষ্ঠী তলায় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

‘রাজ্য আছে, পালের গোদা হারিয়ে গিয়েছে’, মমতার নিশানায় রাজ্যপাল

বনগাঁতে ঝড়ে লন্ডভন্ড ভোট গ্রহণ কেন্দ্র, ব্যারাকপুরে লোডশেডিং- এর মধ্যে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব

বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর