নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় নন্দীগ্রামের(Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ আবু তাহেরকে(Sheikh Abu Taher) তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই(CBI)। তবে শুধু তাহেরকে নয়, তাঁর সঙ্গে আরও ২ তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে। এদিনই অর্থাৎ সোমবার তাঁদের হলদিয়ার(Haldia) টাউনশিপে অস্থায়ী সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। যদিও এত কম সময়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে এদিন আবু তাহের সিবিআইয়ের কার্যালয়ে হাজিরা দেননি। বাকি দুই তৃণমূল নেতাও এদিন হাজিরা দেননি সিবিআই কার্যালয়ে। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় এর আগেও শেখ আবু তাহেরকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু তখনও হাজিরা দিতে যাননি তিনি। তাই নোটিশ পাঠিয়ে এদিন ফের তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হলদিয়ার টাউনশিপে সিবিআইয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তবে এবারেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন।
নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত শেখ আবু তাহের। ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় যে সব ঘটনার তদন্ত সিবিআই করছে তার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আবু তাহেরের নাম উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তাঁর অনুগামী আরও দুই নেতাকেও সেই সূত্রেই ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এদিন আবু সহ সেই ২জনও সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গ্রেফতারির আশঙ্কা থেকেই এদিন ওই ৩ নেতা সিবিআইয়ের কার্যালয়ে হাজিরার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। কেননা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই যে কয়জনকে ডেকে পাঠিয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁরা সবাই গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে হাজিরা দিতে গিয়ে। সেই সব লোকেরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাই এদিন সম্ভবত গ্রেফতারি এড়াতেই ওই দুই নেতা তাঁদের হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এর পরেও প্রশ্ন থাকছে এভাবে হাজিরা এড়িয়ে কতদিন চলবে তা নিয়েও। যদিও এদিন আবু তাহের জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনজীবীর নির্দেশ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’