নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: খাসতালুকে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি শুনে মেজাজ হারালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। গাড়ি থেকে নেমেই তেড়ে গেলেন ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান দেওয়া বিক্ষপভকারীর দিকে। প্রথমে আঙ্গুল তুলে শাঁসালেন। তার পরে কার্যত গুন্ডামির কায়দায় ওই তৃণমূল কর্মীকে ধাক্কাও মারলেন। আর বহরমপুরের সাংসদের ওই ‘দাদাগিরি’ বন্দি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে প্রদেশ সভাপতির দাদাগিরি। ফলে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পায়ের তলায় মাটি নেই বুঝতে পেরে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন অধীর।
শনিবার এই ঘটনা একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কিভাবে প্রদেশ কংগ্রেস বহরমপুরে সহিংসতা পোষণ করছে। যেখানে সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন যেন শান্ত এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়। কোনো গন্ডগোলকে আমরা প্রশ্রয় দিইনা।” সেখানে শনিবার অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই আচরণ প্রমান করে, কেন বহরমপুরের মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি চায়, দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।ভোট যত নিকটে আসছে বাড়ছে প্রচার পর্ব। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা জোড় কদমে চালাচ্ছে প্রচার। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে শনিবার সকালে গান্ধি কলোনি এলাকা থেকে বিটি কলেজ বটতলা মোড় পর্যন্ত অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রচার সারেন। প্রচার সেরে গাড়িতে ফেরার পথে তৃণমূলের কিছু কর্মী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অধীরকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান দেয়। তখনই গাড়ি থেকে নেমে দাদাগিরিতে মেতে ওঠেন প্রদেশ সভাপতি। পরে খবর পেয়ে বহরমপুর থানার(Baharampur P.S.) পুলিশ বাধা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং দুজনকে আটক করে।
অধীরের এমন আচরণ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে প্রদেশ সভাপতিকে ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলা হয়েছে। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, তৃণমূল তার চুল্লুখোরদের দিয়ে আমার প্রচার আটকাবে তা মানব কেন? নেশা করে ‘গো-ব্যাক’ বললে প্রতিবাদ তো করবই। চারিদিকে সিসিটিভি আছে। দেখলেই প্রমাণ পাবেন আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কিনা৷