নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোট। সেই সমস্ত পুরসভায় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের পরেও দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল কিংবা অন্য দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন বহু নেতা। বৃহস্পতিবার সকলকে কড়া নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে বলেন নইলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। সমস্ত জেলাতেই এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন নেত্রী। কিন্তু তার আগেই শাস্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পুরুলিয়াতে দলবিরোধী কাজের জন্য ৮ জন তৃণমূল নেতাকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে ঘাসফুল শিবির।
শুধুই পুরুলিয়া নয়, বৃহস্পতিবার নদিয়ার রানাঘাটে দলীয় বৈঠকে গিয়ে সেখানকার মোট ২৩ জন নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এর মধ্যে কৃষ্ণনগর পুরসভাতেই এই সংখ্যা ১১। রবিবার নদিয়ায় গিয়ে চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের ১১ জন ছাড়াও কল্যাণী, বীরনগরের একাধিক নির্দল প্রার্থী-সহ এই জেলার মোট ২৩ জনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন রানাঘাটের আহেলিতে সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, সুখেন্দুশেখর রায়রা। বৈঠকে ছিলেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর, শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীও।
এই একই পথে গত বুধবার হাঁটে মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে ২০-জন ‘বিদ্রোহী’কে বরখাস্ত করেন মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর তথা মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইঞা এবং অজিত মাইতি।