নিজস্ব প্রতিনিধি: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শ্রীরামপুর কলেজের ইতিহাসের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিশ।
অভিযোগকারিণী ওই নাবালিকা অভিযুক্ত অধ্যাপকের বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই তাঁকে পড়ানোর জন্য রেখে গিয়েছিলেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগ, এরপর লাগাতার ধর্ষণ করেন ওই অধ্যাপক। এমনকি রাতে পড়ানোর জন্য সামনে বই খুলে রেখে যৌন নির্যাতন চালাতেন ইতিহাসের ওই অধ্যাপক। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকারা দুই বোন। তাদের মা তাদের কাছে থাকেন না। এক বোন কাকার কাছে থাকে। আরেকজন মুম্বইতে বাবার কাছে ছিল কিছুদিন। দিন পনের আগে মেয়েকে শ্রীরামপুরের ওই অধ্যাপকের কাছে রেখে যান বাবা। ডিস্ট্যান্সে ওই নাবালিকাকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করবেন অধ্যাপক এমনই কথা ছিল। কিন্তু নাবালিকার অভিযোগ, পড়ানোর নাম করে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই অধ্যাপক। শিশুদের নিয়ে কাজ করা হিন্দমোটরের এক সমাজসেবী সংস্থার দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকা। তাদের কাছেই প্রথম অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। এরপর ওই সংস্থা তৎপরতা শুরু করে। প্রথমে তারা উত্তরপাড়া থানায় যায়। তারপর শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নাবালিকার অভিযোগ পেয়ে শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিশ অধ্যাপককে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিতা নাবালিকা বলেছেন, “আমার বাবা আমাকে এখানে রেখে গিয়েছিল। এখানে পড়াশোনা করার জন্য এসেছিলাম। আমি ডিসট্যান্সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই স্যার আমার সঙ্গে সব কিছু করল, আর এখন আমার সঙ্গে নেই।” অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক। অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, “মেয়েটার বাবাই আমার কাছে ওকে রেখে গিয়েছিল। আমার বাড়িতে ছিল। পড়াশোনা করাতাম। আমার মেয়ে-ছেলেও আছে। আমার বিরুদ্ধে হঠাৎ কেন অভিযোগ, সেটাই জানা নেই।”