নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্ণগড় (Karnagarh)। ব্রিটিশ ভারতের সম্ভবত প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী রানি শিরোমণি (Shiromani)। পারাং নদী ঘেরা প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ- গড়, তাঁর নামেই ‘রানি শিরোমণি গড়’। কর্ণগড়ের দু‘টি মন্দির, মহামায়া ও দণ্ডকেশ্বর আগেই পেয়েছিল রাজ্য সংরক্ষিত সৌধের মর্যাদা। এবারে বর্তমান সংরক্ষিত ‘রানি শিরোমণি গড়’ – এর ভেতরে একটি জরাজীর্ণ মন্দির (জনশ্রুতি, শীতলা মন্দির) ও বাহিরমহল আসতে চলেছে স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট- এর তালিকায়। বিশেষ জায়গা চিহ্নিত করে, ঘোষণা হতে পারে হেরিটেজ জোন। রানির অন্দরমহলের ছোট জলাশয়-টিও আসতে পারে রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক দফতরের আওতায়। ঘোষণা হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। মনে করা হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সংরক্ষিত সৌধ গুলির সামনে বসতে পারে তথ্যসমৃদ্ধ ফলক। গড়ে ঢোকার মুখে বসানো হতে পারে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সমৃদ্ধ ফলক। জীর্ণ এই দুই সৌধের সংস্কার করে তা সংরক্ষণ করা হবে। আলাদা আলাদা করে ঘিরে দেওয়া হতে পারে সৌধ গুলিকে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একাধিকবার রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদল ঘুরে গিয়েছে ঐতিহ্যমণ্ডিত এই গড়।
রাজ্য সরকারের (State Government) প্রাকৃতিক কেন্দ্রের তালিকায় সম্প্রতি স্থান পেয়েছিল কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়। ধর্মীয় ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের তালিকায় স্থান পেয়েছিল কর্ণগড় (মূল মন্দির)। প্রসঙ্গত, এই মহামায়া মন্দির চত্বরে বসেই শিবায়ন রচনা করেছিলেন কবি রামেশ্বর ভট্টাচার্য। রাজ্যের পর্যটন তালিকায় রয়েছে রানি শিরোমণি গড়।
হেরিটেজ জার্নি, ভালবাসি কর্ণগড়, রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, ঐতিহাসিক জীর্ণ ধ্বংসাবশেষ গুলি সংরক্ষণ করুক রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক দপ্তর। করা হোক সংস্কার। খাতায়-কলমে দেওয়া হোক ঐতিহাসিক মর্যাদা। সেই আবেদনকে মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই খাতায়- কলমে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা পেতে চলেছে কর্ণগড়।