নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম বর্ধমান: ভারতীয় রেল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে বিশ্বমানে রূপান্তরিত করতে উদ্যোগী হয়েছে। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের হাবিবগঞ্জ স্টেশনটি আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করেছে রেল, ভোল বদলের পাশাপাশি ওই স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে রানি কমলাপতি স্টেশন। পাশাপাশি আরও কয়েকটি রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। এবার আরও একটি রেলস্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেব গড়ে তোলার প্রস্তাবে অনুমোদন দিল ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল সেটি আমাদের রাজ্যেই অবস্থিত। হাওড়া ও শিয়ালদা নয়, বরং সেই স্টেশনটি হল আসানসোল।
রেল সূত্রে খবর, এই রাজ্যের একমাত্র বিশ্বমানের স্টেশন হবে আসানসোল। যা পিপিপি মডেল নয়, রেল নিজ উদ্যোগেই গড়ে তুলবে। জানা গিয়েছে, দফায় দফায় আলোচনা করার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলের কর্তারা। ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের অনুমোদনও চলে এসেছে। আসানসোলের ডিআরএম প্রেমানন্দ শর্মা জানিয়েছেন, একজনের বদলের বেশ কয়েকজনকে কাজের বরাত দেওয়া হবে, যাতে কম সময়ে সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষ হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বছরের মে মাস থেকে আসানসোল স্টেশনের ভোলবদলের কাজ শুরু হবে এবং দু’বছরের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।
আসানসোল স্টেশনকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে কত টাকা খরচ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে রেলের ধারণা ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ৩ ডিসেম্বর রেলবোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর নয়া স্টেশনের রূপরেখা ও পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু হবে দ্রুত। কীভাবে হবে সেই কাজ, বা কী কী করা যায় সেটা বোঝার জন্য আসানসোল ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিআরএম মুকেশ কুমার মিনার-সহ রেলে ৫ আধিকারিক ভোপালের হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে এসে রিপোর্ট দিয়েছেন। এখন বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ চলছে বলে সূত্রের খবর। ১৮৮৫ সালে তৈরি হওয়া আসানসোল রেলস্টেশনটি রাজ্যের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। ফলে এই স্টেশনের হেরিটেজ বিল্ডিংকে বাঁচিয়ে রেখেই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আসানসোলের ডিআরএম।