নিজস্ব প্রতিনিধি: দু’দিন টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া। জল জমেছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায়। ভেঙে পড়েছে একাধিক অস্থায়ী সেতু। জল বইছে বেশকিছু শক্ত সেতুর উপর দিয়ে। অপরদিকে প্রবল বৃষ্টিতে খারাপ অবস্থা বীরভূমে। ভাসছে বহু গ্রাম, এর মাঝে নদীতে জলস্তর বাড়ায় চিন্তা বেড়েছে দুই জেলায়। একাধিক জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে জল। কার্যত গোটা মাসের বৃষ্টি দু’দিনে হওয়াতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দুই জেলায়।
বাঁকুড়ার থেকে খারাপ অবস্থা বীরভূমে। সমস্ত নদীতে বেড়েছে জলস্তর। এর মাঝেই জলস্তর বাড়ায় মশানজোড়-সহ একাধিক বাঁধের জল ছাড়া হয়েছে। কুঁয়ে নদীতে জল বাড়ায় ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কাঁদরকুলো গ্রাম-সহ প্রায় ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা। তবে বুধবার বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় সেখানকার নদীগুলির জলস্তর নামছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে সোমবার রাতে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে অন্তত ৩০টি গ্রাম। অপরদিকে বিহারে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার নদীগুলিতে জল বাড়ছে। তাই ঝাড়খণ্ডের মশানজোড় বাঁধ থেকে ৫,৪০০ কিউসেক এবং সিউড়ির ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছে ৫,৪০০ কিউসেক জল। এ ছাড়া, বীরভূমের দেউচা বাঁধ থেকে ১,১৩৬ কিউসেক এবং বক্রেশ্বর থেকে ৯৩৯ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বীরভূমের বিভিন্ন গ্রাম। বাঁধের জল ছাড়ায় লাভপুরের কুঁয়ে নদীর জল বেড়েছে। যার জেরে জলের তলায় সিউড়ি-কাটোয়া রাজ্য সড়কের উপর লাভপুরের লাঘাটা সেতু। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের উপর ভাদুল এবং মিনাপুর সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে। ওই দুই সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ। তবে গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর নামতেই মানকানালি সেতুর কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।